শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে ২৮ দিন পর অনশন প্রত্যাহার করলেন পার্শ্বশিক্ষকরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক : নিজেদের অবস্থান থেকে সড়ে গেল রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের একাংশ। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের আশ্বাসে অবশেষে ২৮ দিন পর অনশন ভঙ্গ করলেন রাজ্যের অনশনকারী পার্শ্বশিক্ষকরা। শিক্ষা দফতরের তরফে মাত্র তিনমাসের মধ্যে তাঁদের দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হলে তাঁরা অনশন তুলে নয়। বুধবার বিকেলে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে পার্শ্বশিক্ষকদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল দেখা করার পর অনশন ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিকাশভবনের অদূরে পার্শ্বশিক্ষকরা অনশন ভঙ্গ করেন। অনশন ভঙ্গ করতেই পরিবারের সদস্যরা পার্শ্বশিক্ষকদের সঙ্গে দেখা করেন। এবং পরিবারের সদস্যরা নিজে হাতে জুল খাইয়ে দেন শিক্ষকদের।জানা গিয়েছে মার্চ মাসের মধ্যে শিক্ষকদের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে আবারও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা। উল্লেখ্য, টানা দেড় মাস ধরে বিকাশ ভবনের অদূরে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকরা। বেতন পরিকাঠামো বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনের পথে হেঁটেছিলেন।

উল্লেখ‍্য, বহুদিন ধরে বহু সমস্যার মুখে পড়েছেন SSC-র চাকরিপ্রার্থীরা৷ এ নিয়ে আদালতে বেশ কয়েকবার মামলাও করেছেন তারা। তাদের অভিযোগের তালিকা ভিন্ন ভিন্ন বহু বিভাগে বিভক্ত, কখনও মেধাতালিকা সংক্রান্ত অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন, আবার কখনো ইন্টারভিউ সংক্রান্ত নানান ইস্যুতে৷ এই সমস্ত মামলার জেরে প্রতিনিয়ত নিয়োগের ক্ষেত্রে দেখা গেছে সমস্যা৷

এই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “SSC-তে আমাদের লক্ষ্য স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা৷ কোর্টের নির্দেশ দেওয়া নিয়ে অনেক দিন নষ্ট হয়ে গেছে৷ প্রতিবার অনেকে কোর্টে গিয়ে তাদের মামলা করে আটকে দিয়েছেন নিয়োগ কার্য৷ আমি আবেদন করছি যারা মেধা তালিকায় আছে , যাদের নিয়োগপত্র পাওয়ার সুযোগ রয়েছে, তাদের সেই সুযোগ পেতে অযথা দেরি করাবেন না৷”

কয়েকদিন আগে স্কুল কামাই করা পার্শ্ব শিক্ষকদের শোকজ করেছিল রাজ্যের শিক্ষা দফতর। যদিও শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে শোকজের নোটিস পাওয়ার পরেও নিজেদের অবস্থানে অনড় পার্শ্বশিক্ষকরা। উল্লেখ্য চব্বিশ দিনে পা দিয়েছে ধর্না এবং টানা 19 অনশন ধরে অনশন চলছে পার্শ্ব শিক্ষকদের। আর এই প্রায় এক মাস ধরে রাজ্যের কোনও স্কুলেই পার্শ্ব শিক্ষকরা ক্লাস নিতে যাচ্ছেন না যে কার্যত দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকারা।

সম্পর্কিত খবর