বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জন্ম থেকেই অন্যতম দুটি পা ছিলনা তার। পঙ্গু এই মেয়েকে মেনে নিতে পারেননি বাবা-মা। আর তাই তাকে বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায় বাবা-মা। তাও আবার জন্মের মাত্র এক সপ্তাহ পরেই। এরপর থেকেই কার্যত অনাথ কানিয়া সেসার (kanya sesar)। শিশু সেসারের ঠিকানা ছিল অনাথ আশ্রম।
জীবনের শুরুটা অত্যন্ত তিক্ত হলেও এরপর অবশ্য এক মায়াময় পিতা-মাতাকে পান সেসার। জিমি ও মা’রিয়ান সেসর নামের এক দম্পতি থাইল্যান্ডের অনাথ আশ্রম থেকে তাকে নিয়ে চলে যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। পোর্টল্যান্ডে বড় হতে থাকেন সেসার। সেখানেই তিনি শেখেন, শারীরিক অক্ষমতাকে দূরে সরিয়ে জীবনটাকে নতুন করে দেখতে।
কোনদিন হুইল চেয়ারকে বেছে নেননি সেসার। ছোট থেকেই তার পছন্দ স্কেট বোর্ড। আজ সেই বাবা-মার ফেলে দেওয়া পঙ্গু মেয়েটির মাসিক আয় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন পোশাক কোম্পানির মডেল হিসেবে এখন রীতিমতো জনপ্রিয় কানিয়া সেসার। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একটি ইন্টারভিউতে তিনি বলেন, “নো লেগস, নো লিমিটস।” অর্থাৎ তার পা নেই তাই কোনো বাধাও নেই।
"You are imperfect, permanently and inevitably flawed. And you are beautiful! " 🤍 Be #cupsheconfidence
.
Photographer 📸: @jeffantonsphotography #nolegsnimits #happinessloveyourself pic.twitter.com/8EZP3EmCkJ— Kanya Sesser (@kanya_sesser) June 18, 2021
২৩ বছর বয়সী এই মডেলের স্বপ্ন একদিন তিনি প্যারা অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় মোনো স্কি বিভাগে প্রতিদ্বন্দিতায় নামবেন। তিনি আরও বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আমি অ্যাথলেটিক্সের প্রতি ভীষণ আগ্রহী ছিলাম, পরে ধীরে ধীরে ফটোশুট এবং লিঙ্গেরির মডেলিং শুরু করি।” জীবনের অন্ধকার কাটিয়ে আলোর মুখ দেখেছেন সেসার। তার মতে তীব্র ইচ্ছা শক্তির কারণেই আজ এই পর্যায়ে পৌঁছতে পেরেছেন তিনি। কখনও তিনি নিজেকে কারও তুলনায় একটু আলাদা ভাবেননি।