মেট্রো শুরুর প্রথম দিনেই এইসব সমস্যায় নাজেহাল যাত্রীরা; ক্ষোভ-বিরক্তিতে স্টেশন ছাড়লেন অনেকেই

১৭৭ দিন পর কলকাতা মেট্রো (kolkata metro) চালু করল ভারতীয় রেল (indian raikway)। অনেকেই ভিড় বাসের থেকে মুক্তি পেতে ছুটে গিয়েছিলেন আরামদায়ক মেট্রো সফরের খোঁজে। কিন্তু বেশিরভাগই শেষ পর্যন্ত স্টেশন ছাড়লেন ক্ষোভ, হতাশা আর বিরক্তিকে সঙ্গী করে। কিন্তু ঠিক কি কারনে প্রবেশ করতে দেওয়া হল না তাঁদের? আসুন জেনে নি

১. মেট্রোয় এই মুহুর্তে বাধ্যতামূলক ই-পাস। কিন্তু জনগনের এক বড় অংশের স্মার্টফোন নেই। যার ফলে তারা ডাউনলোড করলে পারলেন না ই-পাস

২. বহু সংখ্যক যাত্রী এমন আছেন যাদের স্মার্ট ফোন থাকলেও নিয়মিত যাতায়াত করেন না বলে স্মার্ট কার্ডের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি এত দিন। স্মার্ট কার্ড না থাকার জন্য ফিরতে হল তাঁদেরও।

৩. স্মার্ট কার্ড ও স্মার্ট ফোন থাকলেও প্রযুক্তি সম্পর্কে খুব বেশি জানে না এমন মানুষ ও যাদের ইন্টারনেট সংযোগ খুবই ধীর তারা ই-পাস ডাউনলোড না করতে পারায় মেট্রো চড়তে পারেন নি।

৪. মেট্রো সার্ভার নিয়েও রয়েছে প্রচুর অভিযোগ। স্মার্ট কার্ড, স্মার্ট ফোন, ভালো ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও অনেকেই মেট্রোর ই-পাস ডাউনলোড করতে গিয়ে দেখলেন সার্ভার ডাউন। এই কারনে অনেককেই মেট্রো যাত্রার আশা ত্যাগ করতে হল।

৫. যতবার মেট্রো সফল ততবারই নতুন করে লাগবে ই-পাস। এটিকেও অসুবিধা বলেই মনে করছেন অনেকেই।

প্রসঙ্গত, রাজধানী দিল্লিতে (delhi) ১৭০ দিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে মেট্রো ( metro rail)। খাতায় কলমে সামাজিক দূরত্বে জোর দেওয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবের ছবি সম্পূর্ণ উল্টো। যার জেরে এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে হল দিল্লি মেট্রোরেল কর্পোরেশনকে।

দিল্লি মেট্রো কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ঠিক করে মাস্ক না পড়ার জন্য ২০০ জনকে সাবধান করা হয়েছে। পাশাপাশি, সামাজিক দূরত্ব বিধি না মানা ও মাস্ক না পরার জন্য ১১৪ জনকে জরিমানা করেছে মেট্রোরেল।

 

সম্পর্কিত খবর