মহানদীর বুকে জেগে উঠল ৫০০ বছরের পুরোনো গোপীনাথের মন্দির, পুনরুদ্ধারে প্রত্নতাত্ত্বিকেরা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ওড়িশার (odisha) আনাচে কানাচে কত যে মন্দির (temple) ছড়িয়ে আছে তার খবর পাওয়া যায়নি এখনো। দীর্ঘ ১১ বছর পর মহানদীর বুকে জেগে ওঠা গোপীনাথ (gopinath) মন্দিরের চূড়া ঘিরে ফের একবার ইতিহাস উদ্ধারের কাজে নেমে পড়েছেন প্রত্নতাত্ত্বিকেরা।

সম্প্রতি ওডিশার নয়াগড় জেলার ভাপুর তহসিলের অন্তর্গত পদ্মাবতী গ্রামের এই গোপীনাথ মন্দিরের চূড়ো ১১ বছর পর জলের ওপর উঠে এসেছে। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচার-এর (ইনট্যাক) পুরাতাত্ত্বিক দল ইতিমধ্যেই এই মন্দির সম্পর্কে গবেষনা শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে৷ তারা জানাচ্ছেন, এই মন্দির কৃষ্ণের অবতার গোপিনাথজীকে উৎসর্গীকৃত। ১৯ শতকে অঞ্চলটি নদীবক্ষে হারিয়ে গেলেও মাঝে মধ্যেই এই মন্দিরটির চূড়া দেখতে পান স্থানীয়রা।

জানা যাচ্ছে, সাতপাটানার অংশ পদ্মাবতী গ্রামটির ইতিহাস সুপ্রাচীন। ষোড়শ শতকেও গ্রামটি সমৃদ্ধশালী জনপদ ছিল। ১৯ শতকে মন্দির গুলি নদীগর্ভে হারিয়ে গেলে মন্দির থেকে বিগ্রহ উদ্ধার করে উঁচু জমিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন গ্রামের বাসিন্দারা। বর্তমানে গোপীনাথ দেবের আদি মূর্তিটি পদ্মাবতী গ্রামের মন্দিরে রয়েছে।

স্থানীয় মিথ অনুযায়ী, ঐ অঞ্চলে রয়েছে মোট ২২ টি মন্দির। যার মধ্যে শুধুমাত্র গোপীনাথ মন্দিরের চুড়ো জলের ওপর থেকে মাঝে মধ্যে দেখা যায়। স্থাপত্যরীতি ও নির্মাণের উপাদান বিচার করে প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, পশ্চিমমুখী এই মন্দিরটি পঞ্চদশ অথবা ষোড়শ শতকে নির্মিত। মুখশালা রীতির অনুসারী এই মন্দিরে রেখ দেউল স্থাপত্যের বিমান লক্ষ্য করা যায়।

প্রসঙ্গত, মহানদী সংলগ্ন বহু অঞ্চল অতীতে সমৃদ্ধ জনপদ ছিল। যা বর্তমানে পুরাতাত্ত্বিকেরা নতুন করে উদ্ধারের চেষ্টায় ব্রতী আছেন৷ এই উদ্ধার সম্পূর্ণ হলে তা যে ভারতীয় সভ্যতার এক উৎকৃষ্ট নিদর্শন হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

সম্পর্কিত খবর