ফের একবার প্রকাশ্যে রাজ্যের বেকারত্ব! হাতি তাড়ানোর চাকরি পেতে লাখে লাখে আবেদন জমা দিল পিএইচডি ও উচ্চশিক্ষিতরা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ (west bengal) এর বেকারত্ব সমস্যা যে কতখানি প্রকট তা ফের একবার এল প্রকাশ্যে। রাজ্যের বন সহায়কের শূন্যপদ ছিল মাত্র ২ হাজার। অষ্টম শ্রেণি যোগ্যতায় এই চাকরির জন্য আবেদন জমা পড়েছে ২০ লক্ষ। তাদের মধ্যে বিরাট একটা অংশ এম.এ,এম.এস.সি, পিএইচডি এর মত উচ্চশিক্ষিত বেকার যুবক।

বন সহায়কের সাধারণ ভাবে চারাগাছ পোঁতা, হাতি তাড়ানো, বন পাহাড়া দেওয়ার মত কাজ করতে হয়। জেনেশুনেই এই কাজে আবেদন করেছে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখে চোখ কপালে উঠেছে বন দপ্তরের আধিকারিক।

জানা যাচ্ছে, ৪ টি বড় ট্রাঙ্কে ভরা যায়নি সব আবেদন পত্র। শেষ পর্যন্ত অতি কষ্টে ৪৫ টি বিশাল বস্তায় ভরা হয়েছে এই সব আবেদন পত্র। এগুলি এবার স্ক্রুটিনি করে দেখা হবে। যদিও বয়সের কারন সহ অন্যান্য কারনে এই পর্বে আবেদন বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। পরবর্তী পর্যায়ে হবে ইন্টারভিউ, জানা যাচ্ছে দিনপ্রতি ১০০ টি করে ইন্টারভিউ নিলেও সেই প্রক্রিয়া শেষ করতে যে কত সময় লাগবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

সিভিক পুলিশের মত চুক্তি ভিত্তিক এই চাকরির আবেদনের শেষ তারিখ ছিল ৬ আগস্ট ২০২০, বনদপ্তরে এক বছরের চুক্তিতে হবে নিয়োগ। বেতন ১০ হাজার টাকা। পরবর্তী তে চুক্তির মেয়াদ বাড়লে বেতন বাড়বে।উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গ মিলিয়ে মোট আটটি জেলার বন দপ্তরে নিয়োগ হবে। বনদপ্তরের শাখা অফিসে বন সহায়ক পদেও নিয়োগ হবে।

পাশাপাশি, আরো শীঘ্রই আরো কিছু পদে নিয়োগ হবে বাংলায়।পাশাপাশি, গ্রুপ বি, সি ও ডি প্রার্থীদের নিয়োগ হবে। অর্থদপ্তর জানিয়েছে জরুরি ভিত্তিতে হবে এই নিয়োগ। স্পেশাল রিক্রুটমেন্ট ড্রাইভের মাধ্যমে নিয়োগ হবে রাজ্যে। কোন দপ্তরে কত নিয়োগ তা এখনো জানা না গেলেও পদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে বলে জানা গিয়েছে।

সবচেয়ে বেশী নিয়োগ হতে চলেছে গ্রুপ সি তে৷ শূন্যপদের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭২৩ জন৷ বি গ্রুপে নিয়োগ হবে ৯ হাজার ১২৭ জনের। গ্রুপ ডি তে নিয়োগ হতে চলেছে ৬ হাজার ৭৮০ জনের।

 

সম্পর্কিত খবর