প্লাবিত গোটা অভয়ারণ্য, আশ্রয়ের খোঁজে জাতীয় সড়কে উঠে এল কাজিরাঙার প্রাণীরা, দেখুন ছবি ও ভিডিও

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এই মুহুর্তে আসামে (assam) বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে হলেও এখনো একটা বিরাট অঞ্চল জলের তলায়। আর সেই প্লাবিত অংশের মধ্যে আছে বিরল এক শৃঙ্গ বিশিষ্ট গন্ডারের চারণভূমি কাজিরাঙা (kaziranga) অভয়ারণ্য। বন দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে, কাজিরাঙার ৫ টি রেঞ্জের মধ্যে এই মুহুর্তে ৪ টি জলের তলায়।

   

কাজিরাঙার পানবাড়ি রেঞ্জটি একটু উঁচু বলে সেখানে বন্যার প্রভাব তেমন পড়েনি। বাকি অঞ্চলগুলিতে প্লাবনের চেহারা মারাত্মক। প্রাণের তাগিদে পশুরা উঠে আসছে জাতীয় সড়কে। হাতি,গন্ডার, হরিন সবই ঘুরে বেড়াচ্ছে জাতীয় সড়কে।

প্রসঙ্গত, বন্যার সময় বাসস্থানের পাশাপাশি খাদ্যের সংকট দেখা যায়। প্রাণ বাঁচাতে গন্ডারের মত প্রাণী চলে যায় অন্যত্র। যা তাদের জীবনে ঝুঁকির কারন হয়ে দাঁড়ায়৷ একটি তথ্য বলছে এই বছর বন্যায় এখনো পপর্যন্ত ২৫ টি বন্যপ্রাণী মারা গিয়েছে৷

পাশাপাশি প্রচুর প্রাণী মারা গিয়েছে গাড়িতে ধাক্কা খেয়ে৷ বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারণ সময়ে প্রাণীরা সময় ও করিডর ধরে চলাচল করলেও বন্যায় তা করে না। সেই জন্যই বেড়ে যাচ্ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যানবাহনের গতি কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বনাঞ্চলে। লাগানো হয়েছে সিসিটিভিও।

কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান হল ভারতের আসাম রাজ্যের গোলাঘাট ও নগাঁও জেলায় অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। এটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। বিশ্বের একশৃঙ্গ গণ্ডারের দুই-তৃতীয়াংশ এই জাতীয় অরণ্যে বাস করে।কাজিরাঙায় একটি সংরক্ষিত অঞ্চল আছে। এখানে বেঙ্গল টাইগারের ঘনত্ব বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। ২০০৬ সালে এটি ব্যাঘ্র প্রকল্প ঘোষিত হয়েছে।

এই জাতীয় উদ্যানে প্রচুর হাতি, বন্য জলমহিষ ও বারশৃঙ্গার পাওয়া যায়।এখানে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি সংরক্ষণ করা হয় বলে বার্ডলাইফ ইন্টারন্যাশানাল একে “গুরুত্বপূর্ণ পক্ষীক্ষেত্র” বলেও ঘোষণা করেছে।

ভারতের অন্যান্য সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তুলনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজিরাঙার সাফল্য তুলনামূলকভাবে বেশি। পূর্ব হিমালয় বায়োডাইভার্সিটি হটস্পটের সীমান্তে অবস্থিত বলে এই উদ্যানে বহু বিচিত্র প্রজাতির সমাগম দেখা যায়।

সম্পর্কিত খবর