আজব দাবি! মানুষ নয়, বরং ভিনগ্রহীদের সঙ্গেই শারীরিক মিলন বেশি উপভোগ্য, জানালেন তরুণী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভিনগ্রহীদের নিয়ে মানুষের মনে আগ্রহের শেষ নেই। পাশাপাশি, বিজ্ঞানীরাও এই সংক্রান্ত গবেষণা বহুদিন ধরেই করে আসছেন। যদিও, ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েন নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক লেখালেখি এবং সিনেমা দেখেছি আমরা। শুধু তাই নয়, এলিয়েনদের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্বের কাহিনি সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছিল সত্যজিৎ রায়ের ছোটগল্প “বঙ্কুবাবুর বন্ধু” কিংবা স্টিফেন স্পিলবার্গের “ইটি” ছবিতেও।

যদিও, এবার এই ভিনগ্রহীদের নিয়েই অদ্ভুত এক দাবি জানালেন লন্ডনের এক তরুণী। যেখানে বিজ্ঞানী থেকে শুরু করে সকলেই এলিয়েনদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠেছেন সেখানে এমানুয়েল নামে ওই তরুণী দাবি করেছেন যে, এক ভিনগ্রহের প্রাণীকেই নাকি তিনি সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এমনকি, প্রায় এক বছর ধরে তাঁরা প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন বলেও জানান তিনি। এদিকে, তাঁর এই বক্তব্যে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে সকলের।

জানা গিয়েছে যে, ওই তরুণীর পুরুষ সঙ্গীর সংখ্যা ছিল কার্যত অসংখ্য। প্রায় প্রতিদিনই তিনি বদল করতেন সঙ্গী। মূলত, নিত্য-নতুন পুরুষের সঙ্গ এবং তাঁদের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা, বেশ উত্তেজক ছিল এমানুয়েলের কাছে। এমনকি, এই জীবনযাপনেই আনন্দ পেতেন তিনি। যদিও, তারপরেই কাটতে থাকে তাল। এমনকি, একটা সময়ে পুরুষদের প্রতি আকর্ষণও কমতে থাকে তাঁর।

আর তারপরেই অবাধ যৌনতায় একঘেয়েমি চলে আসে এমানুয়েলের। শেষ পর্যন্ত এই একঘেয়েমি দূর করতেই তিনি নাকি বেছে নিয়েছেন ভিনগ্রহের এক প্রাণীকে। এমনকি, এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও জানান ওই তরুণী। এমানুয়েল জানান যে, প্রেমিকা হিসাবে তিনি অত্যন্ত রোম্যান্টিক। পাশাপাশি, তিনি চেয়েছিলেন যে, তাঁর ভিনগ্রহের এই প্রেমিক তাঁকে আংটি পরিয়ে ভালবাসার কথা জানাক। যদিও, আংটি জিনিসটি ঠিক কি সেটি তাঁর প্রেমিক বুঝতে না পারায় এমানুয়েলের সে আশা পূরণ হয়নি।

love,alien,International,woman,Claim,London,Intimacy,sexual relationships

যদিও, প্রেমিকাকে অভিনব কিছু উপহার দেন “ভিনগ্রহের ওই প্রেমিক”। মূলত, সমুদ্র থেকে কিছু রঙিন নুড়িপাথর দিয়ে এমানুয়েলের মন ভোলানো হয়। এই প্রসঙ্গে এমানুয়েল আরও জানিয়েছেন যে, মানুষের থেকে ভিনগ্রহীর সঙ্গ অনেক বেশি আনন্দের। এমনকি, সেখানে সম্পর্কের টানাপড়েনেরও কোনো আশঙ্কা নেই। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তাদের সঙ্গে যৌন মিলনও অনেক বেশি সুখের হয়।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর