কেরলে শীঘ্রই টেস্ট হতে চলেছে করোনা প্রতিষেধক হিসাবে প্লাজমা থেরাপি, মিলতে পারে সুফল

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আমেরিকার পর এবার ভারতের (India) করোনা ভাইরাসের রোগীদের উপর প্রয়োগ করা হতে চলেছে প্লাজমা থেরাপি (Plasma Therapy)। আমেরিকাসহ বিশ্বের আরও অনেক দেশে এই পদ্ধতির প্রয়োগ করে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের কিছুটা হলেও সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে। তাই এবার এই পদ্ধতির প্রয়োগ ভারতের চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হবে। কাজ চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ের। খুব শীঘ্রই করোনা রোগীদের উপর এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।

ভারতে এই পদ্ধতির প্রথম প্রয়োগ হতে চলেছে কেরালায়। একজন প্রবীণ আইসিএমআর আধিকারিকের জানান, ‘দেশের মধ্যে প্রথম কেরালা রাজ্যে করোনা রোগের চিকিৎসার ভিত্তিতে গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য এই থেরাপি শুরু করেছে’। আইসিএমআর মর্যাদাপূর্ণ শ্রী চিত্রা তিরুনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিকেল সায়েন্সেস অ্যান্ড টেকনোলজিকে (এসসিটিআইএমএসটি) এই ধরণের প্রথম প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এই প্লাজমা থেরাপির বিষয়ে চণ্ডীগড়ের এক বিখ্যাত ডাক্তার ডাঃ জগত্রাম বললেন, ‘এই মারণ ভাইরাসের সঠিক কোন চিকিৎসা নেই। তার উপর এই রোগের প্রতিষেধক এখনও তৈরি হয়নি। চেষ্টা চলছে প্রতিষেধক তৈরির। সেই কারণে অ্যান্টিবডি টেস্ট করা হচ্ছে। আবার বর্তমানে প্লাজমা থেরাপিও করা হচ্ছে। তাই আমরাও এই প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের কথা ভাবছি। আমেরিকা থেকে বলা হচ্ছে ম্যালেরিয়া রোগের ঔষধ হাইড্রক্সি ক্লোরোকুইন দিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষকে কিছুটা হলেও সুস্থ রাখা যাচ্ছে। তবে এই ওষুধ চিকিৎসক কর্মীদেরকেও দেওয়া হয়’।

আইসিএমআর কর্মকর্তা এর আগে জানিয়েছিলেন যে, থেরাপি ব্যবহার করে কোনও ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করার আগে তাঁর ওষুধ নিয়ন্ত্রক জেনারেল (ডিসিজিআই) এর অনুমোদন নিয়ে হবে। বর্তমানে এই থেরাপি ভারতীয় রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হয় না। আমরা ভারতের সর্বত্র এই পদ্ধতি শুরু করার চেষ্টায় আছি। সেই কারণে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (ডিসিজিআই) এর অনুমোদন প্রথমেই প্রয়োজন। তবে বর্তমানে এটি কেবলমাত্র ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য ব্যবহার করা হবে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি দেশে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থা সম্পন্ন অথবা ভেন্টিলেটরে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছে’।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর