আবারও বড় সড় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি দেশে! সাত বছর ধরে আরবিআইকে ভুল তথ্য দিয়ে গভীর সংকটে পিএমসি ব্যাংক

বাংলা হান্ট ডেস্ক : পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের পর এবার পিএমসি৷ আবারও সামনে এল বড় সড় ব্যাংক আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য৷ রিজার্ভ ব্যাংককে ভুল তথ্য দিয়ে কারচুপির অভিযোগ উঠল পাঞ্জাব মহারাষ্ট্র কো অপারেটিভ ব্যাংকের বিরুদ্ধে৷ দীর্ঘ সাত বছর ধরে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া কে চোখে ধুলো দিয়ে হিসেব নিকেশে গরমিল দেখিয়েছে পিএমসি, শুধু তাই নয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিচালন বোর্ড কে কিছু না জানিয়েই হাউজিং ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের 6500 কোটি টাকা ঋণ কে এনপিএ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে৷

বর্তমানে এইচডিআইএল এর অর্থনৈতিক অবস্থা কার্যত সংকটের মধ্যেই, পিএমসি ব্যাংকের কাছ থেকে কয়েক বছরের সাড়ে ছ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে৷ এই ঋণের হিসেব নিকেশ রিজার্ভ ব্যাঙ্কে এত দিন অবধি বেশ ভাল অ্যাকাউন্ট হিসেবে দেখিয়েছে পিএমসি র এম ডি৷ কিন্তু বর্তমানে এইচডি আই এলের যা অবস্থা তাতে ওই ঋণ কোনও ভাবেই ফেরত পাবে না জেনে চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে পিএমসি৷ নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন পিএমসি র ম্যানেজার জয় টমাস৷

আরবিআই কে উদ্দেশ্য করে একটি পাতার চিঠিও লিখেছেন তিনি, যেহেতু এইচডিআইএল র ঋণের পরিমাণটা বেশ ভালো ছিল তাই সংস্থার লভ্যাংশের কথা ভেবে সংস্থার সুনাম যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য এনপিএ হিসেবে দেখানো হয়নি বলেই জানিয়েছেন ওই চিঠিতে পাশাপাশি এইচডিআই এল এল ঋণ শোধের নজির থাকার কারণে স্যান্ডার্স অ্যাকাউন্ট হিসেবে দেখে এসেছেন বলেও দাবি জয় টমাসের৷

কিন্তু জয় টমাস যতই এইচডি আইএল এর অ্যাকাউন্টকে স্ট্যান্ডার্ড বলুক না কেন আরও বেশ কয়েকটি খারাপ পারফর্ম করা অ্যাকাউন্টকে ভাল হিসেবে দেখানো হয়েছে বিএমসির তরফ থেকে আর এ ভাবেই ঋণ সহ সুদ মিলিয়ে ভয়াবহ আর্থিক সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে সংস্থাকে৷ জানা গিয়েছে পরিচালন বোর্ড অডিটর এবং আরবিআই সেবি র মতো নিয়ন্ত্রকদের গোপনেই কাজটি চালানো হয়েছে৷

তবে একটি সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর এইচডি আইএল এর ঋণের পরিমাণ সাড়ে হাজার কোটি নয় 8800 টাকা, 2006 সাল থেকে এ ভাবেই ঋণ নিতে নিতে তেরো বছরে গিয়ে পৌঁছেছে কয়েক শ হাজার টাকা৷ তবে পিএমসি র এই কেলেঙ্কারির তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে৷ আবারও কি বিএনপি ব্যাঙ্কের ছায়া? সব মিলিয়ে কার্যত শিরে সংক্রান্তি অবস্থা৷

সম্পর্কিত খবর