হরিয়ানায় কৃষক বাঁচাও আন্দোলনে রাস্তায় নামা কৃষকদের উপর চলল পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত অনেকে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ হরিয়ানা (haryana) সরকার পিপলিতে আয়োজিত কিষাণ বাঁচাও মন্ডি বাঁচাও সমাবেশ জোর করে বন্ধ করতে চেয়েছিল। বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কৃষকদের, সভায় যেতেও বাঁধা দেওয়া হয়। পুলিশের বারণ উপেক্ষা করেও কিছু সংখ্যক কৃষক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কুরুক্ষেত্রে পৌঁছেছিলেন।

সেখানে গিয়েও পুলিশ তাঁদের ফিরে যেতে বল প্রয়োগ করে। উল্টে ক্ষুব্ধ কৃষকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টি করতে শুরু করে। পাল্টা পুলিশও লাঠি চার্জ করে। পুলিশ জনতার সংঘর্ষের জেরে দিল্লী-চণ্ডীগড় জাতীয় মহাসড়কে নীলোচেরী থেকে শাহাবাদ যাওয়ার রাস্তা ১ ঘন্টার জন্য থমকে যায়। তবে পরবর্তীতে দুপুর ২ টোর সময় পিপলি শস্য বাজারে কৃষকরা তাঁদের র‍্যালী শুরু করেছিল।

প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক অরোরা, লাড্ডা কংগ্রেস বিধায়ক মেওয়া সিং, প্রাক্তন উন্নতি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জলেশ শর্মা এবং সংগঠন মন্ত্রী সুভাষ পালি সহ বেশ কয়েকজন কৃষক নেতা এই সভার সমর্থনে থাকলে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। ডিসি শরণদীপ কৌর, এসপি আস্থা মোদী এবং এসডিএম আখিল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কৃষকদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেও, তারা তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। শেষ অবধি কৃষকদের জেদের কাছে হার মানতে বাধ্য হয় পুলিশরা।

মন্ডিতে কৃষকদের উদ্দেশে ভারতীয় কৃষক ইউনিয়নের সভাপতি গৌনম সিং চধুনি বলেছিলেন, ‘সরকার অন্নদাতাদের উপর লাঠিচার্জ করে খুব ভুল করেছে। আমরা এখন সরকারকে ৪ দিনের জন্য সময় দিচ্ছি। যদি সরকার কৃষকদের দাবী না মেনে নেয়, তাহলে আগামী ১৫ ই সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে কৃষকরা ধর্নায় বসবে’।

প্রথমে আইন অনুসারে, ব্যাবসায়ীরা মন্ডি থেকে কৃষকদের থেকেই শুধুমাত্র ফসল কিনতে পারত। নতুন আইনে, ব্যবসায়ীরা বাজারের বাইরে থেকেও ফসল কিনতে পারবে। শস্য, ডাল, পেঁয়াজ, আলু ইত্যাদি প্রয়োজনীয় পণ্য এই আইন থেকে বাদ রাখা হয়েছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর