ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মণিপুরে জলের প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra modi) বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মণিপুর জল সরবরাহ প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করলেন। তিনি বলেন, করোনার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে, আমাদের জিততে হবে।

এর পাশাপাশি পুরো শক্তি নিয়ে উন্নয়নের কাজ বাড়াতে হবে। উত্তর-প্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মন্ত্র প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। তিনি বললেন, ভারত খোলা বাজার, কাজের সুযোগ এবং কাজের বৈচিত্র্যের পীঠস্থান। বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে তাঁর বিজ্ঞাপন়, “এই লকডাউনের বাজারেও ভারত ২০০০ কোটি মার্কিন ড‌লার বিনিয়োগ পেয়েছে।”

   

তিনি আরও বলেন, পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারত দ্বৈত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ভারী বৃষ্টিতে অনেক ক্ষতি করছে। বহু মানুষ মারা গেছেন। অনেককে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। ভারত সরকার সব রাজ্য সরকারের সাথে প্রয়োজন মেটাতে চেষ্টা করে চলেছে। মণিপুরে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার দিনরাত কাজ করছে। রাজ্য সরকার লোককে লকডাউনে ফিরিয়ে আনা-সহ প্রতিটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছিল।

প্রধান মন্ত্রীর মতে, মণিপুরের লক্ষ লক্ষ সহকর্মী, বিশেষত বোনদের জন্য আজ একটি বড় দিন। রাখির উত্সব আসতে চলেছে, তার আগে এটি মণিপুরের বোনদের খুব বড় উপহারের সূচনা হবে। তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে জল সরবরাহ প্রকল্পটি এখানকার মানুষের পানির সমস্যা কমিয়ে দেবে।

১৭০০ টিরও বেশি গ্রামের জন্য, এই প্রকল্পের বাইরে আসা জলের স্রোত একটি লাইফলাইন হিসাবে কাজ করবে। এই প্রকল্পটি কেবলমাত্র আজই নয়, পরবর্তী ২০-২২ বছরের প্রয়োজনগুলির কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। এমনকি লকডাউনেও এর কাজ থামেনি।

তিনি বলেন, প্রত্যেকের জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্য আসবে। জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য জীবনযাত্রার সহজতা জরুরি। মানুষের অর্থ কম হতে পারে, তবে প্রত্যেকেরই জীবনযাত্রার স্বাচ্ছন্দ্যের অধিকার রয়েছে। বিশেষত, দরিদ্ররা আদিবাসীদের অধিকারী। মণিপুর সহ গোটা ভারত উন্মুক্ত মলত্যাগমুক্ত ঘোষণা করেছে। প্রতিটি পরিবার বিদ্যুতের সাথে যুক্ত।

এলপিজি গ্যাস দরিদ্রতম দরিদ্রদের রান্নাঘরে পৌঁছেছে। প্রতিটি গ্রামই ভাল রাস্তা দিয়ে সংযুক্ত হচ্ছে। দরিদ্র ও গৃহহীন প্রত্যেককেই ভাল ঘর সরবরাহ করা হচ্ছে। এক কানেক্টিভিটি সরাসরি উন্নত জীবনের সাথে সম্পর্কিত।

ইজ অফ লিভিংয়ের লোকদের জন্য উত্তর-পূর্বের সংযোগ প্রয়োজনীয়। উত্তর-পূর্ব পূর্ব এশিয়ার সাথে সাংস্কৃতিক সম্পর্কের প্রবেশদ্বার। ২০১৬ সালে পুরো উত্তর-পূর্ব অবকাঠামোয় হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে।

শেষে প্রধানমন্ত্রীর মতে, আবার করোনার সঙ্কটের কথা উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, “আমাদের প্রবৃদ্ধি ও বিশ্বাসের পথকে আরও শক্তিশালী রাখতে হবে।

সম্পর্কিত খবর