কর্ণাটক হাইকোর্টে বিনা বাধায় কোরান বিলি করলো ইসলামিক সংগঠন, প্রতিবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায়।

দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার অবস্থা এমন যে, আদালতে পর্যন্ত ইসলামিক সংগঠনগুলি সক্রিয় হয়ে উঠছে। ধর্মনিরপেক্ষ আদালত এখন, ইসলামিক সংগঠনের সামনে নতমস্তক হচ্ছে। অবশ্য এটা সেই ধর্মনিরপেক্ষ দেশ যেখানে রাঁচির এক হিন্দু মেয়েকে ইসলামিক গ্রন্থ কোরান বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হিন্দু মেয়েটি সাহসী হওয়ার কারনে চাপে পড়ে আদালত নিজেই নির্দেশ ফিরিয়ে নেয়। কর্ণাটক হাইকোর্ট থেকে এক ঘটনা এসেছে যা মিথ্য সেকুলারিজমকে জোর ঝটকা দেবে।

আসলে কর্ণাটক হাই কোর্ট থেকে কোরান বিলি করার খবর এসেছে। কর্নাটকে সালাম সেন্টার নামের একটা ইসলামিক সংগঠন রয়েছে। এই সংগঠন অমুসলিমদের মুসলিম করার অভিযোগে কর্ণাটক কুখ্যাত। সালাম সেন্টার এখন কর্ণাটকের হাই কোর্টে কোরান বিলি করার অনুমতি পেয়েছে। কারোর কোনো বাধা ছাড়াই কর্ণাটকের হাইকোর্টে চলছে কোরান বিলি। বলা হয়, এই সংগঠনের মূল উদেশ্য অন্য ধর্মের লোকজনকে মুসলিমে কনভার্ট করা। কেরালা রাজ্যে খ্রিস্টান মিশনারিরা গরিব হিন্দুদের লোভ দেখিয়ে, বোকা বানিয়ে খ্রিস্টানে পরিণত করে। ঠিক একইভাবে সালাম সেন্টার নামের ইসলামিক সংগঠন অন্য ধর্মের লোকজনকে মুসলিম করার জন্য কাজ করে বলে অভিযোগ ওঠে।

সালাম সেন্টারের সভাপতি সৈয়দ হামিদ মহসিন  কর্ণাটক হাইকোর্টের উকিল ও বাকি সমস্ত আইনজীবীদের কোরান বিলি করেন। সৈয়দ হামিদ মহসিন কোরান বিলির পর বলেন, তার প্রথম পদক্ষেপ সফল হয়েছে। এর আগে কংগ্রেস সরকার থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী সহ প্রশাসনের লোকজনকে কোরান বিলি করা হয়েছিল। আর এখন আদালতের আইনজীবীদেরও কোরান বিলির কাজ শুরু হয়েছে। এবার থেকে বিচারক, উকিলরা কোরান অধ্যয়ন করে আদালতে কাজের জন্য এলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

সম্পর্কিত খবর