এ কী কাণ্ড! সনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী।

 

   

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০০৭ সালে কংগ্রেস দলের সাধারন সচিব হন রাহুল গান্ধী। তখন থেকেই বৈঠকে দেখা যেত তাকে। ২০১৭ সালে কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কংগ্রেস দলের সমস্ত বৈঠকে অপরিহার্য  ভাবে উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী।কিন্তু ১২ বছরে প্রথমবার কংগ্রেসের সদর দফতরে কোনও বৈঠকে রাহুলের নেমপ্লেট দেখা যায়নি।  বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে সনিয়ার ডাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের সমস্ত রাজ্যের সচিব, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্যরা। ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহও, কিন্তু ছিলেননা শুধু রাহুল।জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করার পর কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির বৈঠকে শেষবার দেখা গিয়েছিল রাহুলকে। তবে সেই বৈঠকে তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হলেই চলে যান তিনি।রাহুলের অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরপিএন সিংহ সাংবাদিকদের জানান যে, রাহুলকে ডাকা হয়নি কারণ এই বৈঠকে হাজির থাকার জন্য যে পদমর্যাদা প্রয়োজন, রাহুলের তা এই মুহূর্তে নেই। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে বিগত লোকসভা নির্বাচনের পর দলের দুরাবস্থার দায়ে পদত্যাগ করেন রাহুল গান্ধী।কিন্তু তাহলে প্রশ্ন ওঠে মনমোহন সিংহ কেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন? আরপিএন সিংহ জানিয়েছেন, “অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করার ছিল বলে বিশেষজ্ঞ হিসাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।”

বৃহসপতিবার সনিয়ার ডাকা এই বৈঠকের প্রধান আলোচ্যসূচি ছিল মহাত্মা গাঁধীর দেড়শোতম জন্মবার্ষীকি উদযাপনের প্রস্তুতিপর্ব চূড়ান্ত করা, শুধু তাই নয়, দলের সদস্য সংগ্রহ অভিযান ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। দলের একাংশ থেকে বলা হয়েছে যে, ওয়েনাড়ের সাংসদ হিসেবে রাহুল চাইলে বৈঠকে থাকতেই পারতেন ।রাহুলের ঘনিষ্ঠমহল থেকে বলা হয়েছে, দলের বিপর্যয়ের দায় নিয়ে সরে যাওয়ার পর নিজের ইচ্ছায় ই  এই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।  রাজনীতিবিদদের মতে তিনি যে দলের সক্রিয় অংশ হিসেবে থাকতে চাননা তা বুঝিয়ে দিতেই এই বৈঠকে অনুপস্থিত হয়েছেন তিনি।

 

 

সম্পর্কিত খবর