রাহুল গান্ধী অসময়ে আমাদের পাশে ছিলেন, আর্থিকভাবে অনেক সাহায্যও করেছেন, কিন্তু বলতে মানা করেছিলেন: নির্ভয়ার বাবা

নির্ভয়া মামলার (Nirbhaya Case) চার অপরাধী মুকেশ, বিনয়,পবন ও অক্ষয় নামের ৪ জন অমানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হল। একজন অপরাধী মহাম্মদ আফরোজ আগেই নাবালক হওয়ার বাহানা দিয়ে ছাড়া আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। তবে বাকি ৪ জন অমানুষকে শেষমেষ আদালত ফাঁসিতে ঝোলানোর রায় দেয়।ফাঁসির পর নির্ভয়ার মা বলেন আজ দেশ, সমাজ, দেশের মেয়েরা ন্যায় পেল।

এবার থেকে দেশের মেয়েরা নিজেদের বেশি সুরক্ষিত মনে করবে। একই সাথে উনি বলেন, সমস্থ বাড়ির লোকজন তাদের ছেলেদের নির্ভয়া কাণ্ডের উদাহরন দিয়ে সচেতনা ছড়াতে পারবে।আর নির্ভয়ার প্রতি এই অবিচারে তার মার পাশে দাড়িয়েছিলেন আইনজীবী সীমা কুশওয়াহা । তিনি তীব্র লড়াই করেছিলেন এবং তার পরিবারকে আশ্বাস দিয়েছিলেন।নি। ২০১২ সালে যখন নির্ভার সাথে এই ঘটনাটি ঘটেছিল, তখন সীমা আদালতে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন, তার পরে সীমা অর্থ ছাড়াই মামলাটি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এবং প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি নির্ভারকে ন্যায়বিচার দিয়ে যাবেন।আর এই পরিস্থিতিতে তাদের পাশে দাড়িয়েছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী । এমন্টাই জানিয়েছে নির্ভয়ার বাবা বদ্রীনাথ । তিনি বলেন ,  “মেয়ের মৃত্যু আমাদের হৃদয়ে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। রাহুল গান্ধীর রাজনীতি যাই হোক, তিনি আমাদের কাছে দেবদূতের মতো।রাহুলের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। তিনি আমাদের বরাবরই বলতেন, আমাদের সাহায্য করার পিছনে তাঁর কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।

   

“ এমনকি নির্ভয়ার ভাইকে আর্থিক সাহায্য করায় তিনি আজ পাইলট হতে পেরেছেন। আর এই সাহায্য মানবিকতার খাতিরেই বলে জানান নির্ভয়ার বাবা। দীর্ঘ সাত বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পরে, ২০২০ সালের ২০ শে মার্চ ভোর সাড়ে ৫ টায় নির্ভার চার অভিযুক্তকে দিল্লির তিহার কারাগারে ফাঁসি দেওয়া হয়। তার আগে পর্যন্ত ওই আসামীরা বাচার জন্য আপ্রান চেস্টা করে গেছে। কিন্তু তাও শেষরক্ষা হয়নি। আর নির্ভয়ার মার পাশাপাশি আজ সকল ভারতীয়দের মুখে খুশীর হাসি।এর পাশাপাশি নরেন্দ্র মোদীও জানিয়েছেন যে অবশেষে সত্যের জয় হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর