প্রথম “পাওয়ার” প্লে নিতে চলেছে মহারাষ্ট্র, “উদ্ভবের” উদ্ভভ,শপথে নেই রাহুল সোনিয়া!

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক:  বাল ঠাকুরের আশীর্বাদ নিয়ে রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন শরদ পাওয়ারের কন্যা। আর তারই কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল উদ্ভব ঠাকের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার মধ্য দিয়ে? রাজনৈতিক মতাদর্শ ভিন্ন ভিন্ন থাকতেই পারে তবে মহারাষ্ট্র ইতিহাসে উদ্ভব ঠাকুরের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া যেন এক অনন্য নজির গড়লো রাজনৈতিক ইতিহাসে।

 

একসময় নিজের মহারাষ্ট্রের যিনি ছিলেন রিমোট কন্ট্রোল। তার হাত থেকে যেন গোটা মহারাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত হতো। কিন্তু সেখানে কোনো বারই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য দৌড়ে পরিবারের এমন গতিবিধি দেখা যায়নি। কিন্তু এবার গঙ্গা-যমুনা দিয়ে বয়ে গেছে অনেক জল বেড়েছে রাজনৈতিক উত্তাপ। ছোটবেলার বন্ধুত্ব ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে তারা। তাদের ক্ষেত্র থেকে আর সেখানেই উদ্ভবের উদ্ভব। তবে কংগ্রেসের সাথে এনসিপি এবং শিবসেনা জোট নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়ছে না বিজেপি। নীতিহীনতার জোট বলেও তারা দাবি করেছে। অমিত শাহ ঘোড়া কেনাবেচার জন্য আঙ্গুল তুলেছে কংগ্রেসের দিকে। কিন্তু কংগ্রেস বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে।

রাহুল গান্ধী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং সোনিয়া গান্ধী এই তিনজন কংগ্রেসের হাইকমান্ড বলে পরিচিত। তাদের কথা ছাড়া যে কংগ্রেসের পাতাও নড়ে না তা ভালো করে জানে কংগ্রেস প্রেমীরা। তবে তাদের জন্য এখন কি ব্যবস্থা হয়। কিভাবে মন্ত্রী মন্ডল সাজানো হয় তার দিকে তাকিয়ে আছে মহারাষ্ট্রের আপামর মানুষ। শরদ পাওয়ার যে রাজনীতির আঙিনায় একজন পাক্কা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচয় দিলেন তা বলাই যায়। তার হাত ধরেই যেন ছিন্ন মালাএর মত এক সময় হয়ে গেলেও তাকে আবার একসূত্রে বাঁধতে সক্ষম হয়েছেন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ পাওয়ার। তার নিজের ঘর সামলাতে সামর্থ্য হয়েছেন। কিন্তু অন্যদিকে ফরনবিশ ইস্তফা দেওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি সরকার গড়তে অসমর্থ হয়েছে । কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে বিজেপি যদি সেখানে সরকার করতে অসমর্থ হওয়ায় এবং মহারাষ্ট্র স্থায়ী সরকারকে দিতে অসমর্থ হয় তার দায় কি শুধু বিজেপির? নাকি চিরসঙ্গী শিবসেনা তার দায় নিতে অস্বীকার করতে পারে না?

সম্পর্কিত খবর