লকডাউনে নাতনির খাবার জোটাতে রাস্তায় বেহালা বাজান বৃদ্ধ, খোঁজ পেয়েই সাহায‍্যের আশ্বাস রাজ চক্রবর্তীর

বাংলাহান্ট ডেস্ক: করোনা পরিস্থিতিতে রোজগার বন্ধ জামাইয়ের। সদ‍্যোজাত নাতনির খাবার জোটাতে তাই নিজের কাঁধেই দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন বৃদ্ধ ভগবান মালি (bhagaban mali)। শহরের ফুটপাতে বসে বেহালা বাজিয়েই রোজগার করেন তিনি। তাতেই চলে ছোট্ট সংসার। সোশ‍্যাল মিডিয়ার দৌলতে এই খবর জেনে গিয়েছেন অনেকেই। একই পদ্ধতিতে জেনেছেন ব‍্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী (raj chakraborty)। আর জেনেই বৃদ্ধ বেহালাবাদকের সাহায‍্যে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

গিরিশ পার্কের অলিগলিতে ঘুরে বা ফুটপাতে বসে বেহালা বাজান ভগবান মালি। যে কটা টাকা রোজগার হয় তাই দিয়েই চলে তাঁর, স্ত্রীর, মেয়ে, জামাই ও ছোট্ট নাতনির সংসার। নাতনি হওয়ার খবর পেয়েই মালদহ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন সস্ত্রীক ভগবান মালি। কিন্তু বিধিনিষেধ আরোপ হওয়ায় আটকে পড়েন।


এদিকে করোনা আবহে কাজ নেই জামাইয়ের। অভাবের সংসারে ছোট্ট নাতনির মুখ চেয়েই এই রোজগারের উপায় বের করেন বৃদ্ধ। সোশ‍্যাল মিডিয়ার মাধ‍্যমে এই তথ‍্য জানতে পারেন রাজ চক্রবর্তী। সঙ্গে সঙ্গে ভগবান মালির সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান তিনি। হুগলি যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুন্তল ঘোষ বলেন, রাজ চক্রবর্তী ভগবান মালির সঙ্গে যোগাযোগের ইচ্ছা প্রকাশ করে সোশ‍্যাল মিডিয়ায় লিখতেই ‘সবুজ সঙ্গী’র মাধ‍্যমে খুঁজে বের করা হয় তাঁকে।

সোমবারই তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ। জামাইয়ের জন‍্য একটা কাজ, থাকার ব‍্যবস্থার পাশাপাশি ছোট্ট নাতনির জন‍্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়ারও কথা দিয়েছেন রাজ। রাজের এই মানবিকতায় আপ্লুত ভগবান মালি। তিনিও জানিয়েছেন, যেকোনো সুর দিলেই বেহালায় বাজিয়ে দিতে পারবেন তিনি।

প্রসঙ্গত, নির্বাচনে জিতেই কাজে নেমে পড়েছেন রাজ চক্রবর্তী। ব‍্যারাকপুরের নিকাশি ব‍্যবস্থা, ভাগাড়ের সমস‍্যা নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তবে একদিনে তো সব কাজ সম্ভব নয়। তাই ধৈর্য ধরতে বলেছেন রাজ। পাশাপাশি ব‍্যারাকপুরের মানুষদের ধন‍্যবাদ জানানোর জন‍্য প্রতিটি বাড়িতে চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনাও করেছেন বলে জানান রাজ। দ্রুত সমস‍্যার কথা জানিয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন‍্য তাঁর ফোন নম্বরও থাকবে চিঠিতে।

Avatar
Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর