
বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘কহো না পেয়ার হ্যায়’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক। সেই প্রথম হৃতিক রোশনের (Hrithik Roshan) প্রেমে পড়েছিল দর্শকরা। ইন্ডাস্ট্রিতে পাকাপাকি ভাবে নিজের ছাপ ফেলতে বেশি সময় নেননি গ্রিক গড। একের পর এক হিট ছবি দিয়ে নিজস্ব একটা ব্র্যান্ড বানিয়ে নিয়েছেন হৃতিক। প্রথম ছবি থেকেই সাফল্যের শিখরে, ফিল্মি ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা সত্ত্বেও অভিনয়ে আসার আগে হৃতিকের জীবন কেটেছে আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই।
তাঁর বাবা রাকেশ রোশন (Rakesh Roshan) বলিউডের খ্যাতনামা পরিচালক। নিজেও বাবার একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন হৃতিক। আক্ষরিক অর্থেই তারকা সন্তান তিনি। কিন্তু খুব যে বিলাসব্যসনে তিনি বড় হয়েছেন এমনটা কিন্তু নয়। বরং রাকেশই ছেলেকে সাধারণ ভাবে বড় করে তোলার উপরে জোর দিয়েছেন বরাবর।
কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে রাকেশ রোশন জানিয়েছিলেন, হৃতিককে তিনি বাস, অটো, ট্যাক্সিতে যাতায়াত করাতেন। বাড়ির গাড়িতে ওঠার অনুমতি ছিল না তাঁর। এত বড় একজন পরিচালকের ছেলে হয়েও বাস অটোতে করেই সেটে পৌঁছাতেন তিনি।
কলেজ পাশ করার পর বিদেশে গিয়ে স্পেশ্যাল এফেক্টস শেখার সুযোগ পেয়েছিলেন হৃতিক। কিন্তু তিনি যাননি। উলটে মুম্বইতে থেকেই বাবার কাছে কাজ শেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সে সময়ে রাকেশ রোশন ‘করণ অর্জুন’ তৈরি করছেন। হৃতিক ছিলেন ছবির অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর।
রাকেশ জানান, নিজের ছেলে বলে কোনো বাড়তি সুবিধা পাননি হৃতিক। বরং যথেষ্ট কড়া ব্যবহার করা হত তাঁর সঙ্গে। পরিচালক, অভিনেতাদেথ সঙ্গে বসে খাওয়ার অনুমতি ছিল না তাঁর। রাকেশের সঙ্গে এক গাড়িতে উঠতে পারতেন না। অন্য অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টরদের সঙ্গে বাসে ট্রামে করেই যাতায়াত করতেন।
রাকেশ বলেছিলেন, বাড়িতে হৃতিকের সঙ্গে নিজের ছেলের মতোই ব্যবহার করতেন তিনি। এক টেবিলে বসে খেতেন দুজনে। কিন্তু সেটে দুজনের মধ্যে পরিচালক এবং অ্যাসিস্ট্যান্টের সম্পর্ক ছিল। আরৌ তিন জনের সঙ্গে একই ঘরে থেকে খাবার খেয়ে কাজ করতেন হৃতিক। ছেলেকে প্রকৃত শিক্ষা দিতে গেলে এভাবেই দিতে হবে বলেই মনে করেছিলেন রাকেশ রোশন।
করণ অর্জুন ছাড়াও খেল এবং কয়লা ছবিতেও রাকেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে কাজ করেছিলেন হৃতিক। বাবার পরিচালিত ছবির হাত ধরেই অভিনয়ে পা রাখেন তিনি। রাকেশ জানিয়েছিলেন, তিনি অভিনেতা হতে পারেননি। তাই চেয়েছিলেন তাঁর ছেলে সেই স্বপ্ন পূরণ করুক। আজ হৃতিক সুপারস্টার। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে তাঁর ভক্ত। ছেলের গর্বে আজ গর্বিত বাবা রাকেশ রোশন।