এবার থেকে চাল ডালের সঙ্গে রেশন দোকানে মিলবে মদও! অনুমতি চাইল রেশন ডিলার্স ফেডারেশন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কিছু বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা বাংলা গান খুব জনপ্রিয় হয়। সেই গানের নাম ছিল,”মদ আমাদের দিতে হবে রেশন দোকানে…”। অনেকটা সেই ধাঁচেই এবার নব উদ্যোগ নিল রেশন ডিলার্স ফেডারেশন। রেশন ডিলার্সদের সংগঠন মদ বিক্রি করার অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। কেন্দ্রীয় খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রকের প্রধান সচিব সুধাংশু পান্ডেকে গত ২০ সেপ্টেম্বর চিঠি পাঠানো হয়েছে রেশন ডিলারদের পক্ষ থেকে।

কিন্তু হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত? রেশন ডিলাররা বলছেন রেশন দোকানগুলি টিকিয়ে রাখতে গেলে কেন্দ্রীয় সরকারকে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। রাজ্য সরকারকেও এই বিষয়ে সাথ দিতে হবে। রেশন দোকানগুলি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তাই তারা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মদ বিক্রি করার অনুমতি চেয়েছেন।

অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস অফ ডিলারস ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে গোটা ভারতবর্ষে রেশন দোকানের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৮৬৮ টি। সারাদেশের প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবিকা সরাসরি রেশন দোকানগুলির সাথে যুক্ত। পাশাপাশি আরো পাঁচ কোটি মানুষ পরোক্ষভাবে যুক্ত রেশন দোকানে কর্মসংস্থানের সাথে।

রেশন ডিলারদের যুক্তি বর্তমানে যে পরিকাঠাময় রেশন দোকানগুলি চলছে তাতে ডিলারদের লাভ হচ্ছে না। তাই তারা মদ বিক্রি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। মদ বিক্রির পাশাপাশি যাতে ভবিষ্যতে রেশন দোকানগুলি থেকে ৫ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারও বিক্রি করা যায় সেই ব্যাপারেও আবেদন জানিয়েছেন তারা। তারা আশা করছেন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে যথপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Ration dealers,centre,Permission,liquor,ration shops,Ration,Ration Card,Fair Price Shop,Wine

অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার ফেডারেশনের অন্যতম কর্তা জয়ন্ত দেবনাথ জানিয়েছেন, দুই থেকে চারজন করে কর্মচারী যুক্ত এক একটি দোকানের সাথে। প্রত্যেক কর্মচারীর পরিবারে তিন থেকে চারজন সদস্য থাকলেও পরোক্ষভাবে আরো পাঁচ কোটি মানুষ এই রেশন দোকানের উপর নির্ভরশীল। তাই সরকারের উচিত রেশন দোকানগুলি কিভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায় সেই ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা করার।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর