শত শত প্রণাম যার তেজস্বী বাক্য শুনে গুঞ্জন করেছিল বিশ্ব গগন, যিনি দেখেছিলেন ভারতকে বিশ্বগুরু করার স্বপ্ন।

বাংলাহান্ট ডেস্ক: স্বামী বিবেকানন্দর  (Swami Vivekananda) জন্মদিন উপলক্ষে জাগায় জাগায় পালিত হচ্ছে তার ১৫৮ তম জন্মতিথি। প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছেই যে তিনি একজন আদর্শ ব্যক্তিত্ব সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। ১৮৬৩ সালে কলকাতার একটি সাধারন পরিবারে তার জন্ম হয় পেশায় তার বাবা ছিলেন উকিল। ছোট থেকেই তিনি ছিলেন অসম্ভব মেধাবী । পড়াশোনার পাশাপাশি আধ্যাত্মিক বিষয়ে তার বিশেষ ভালোলাগা ছিলো বরাবর। তাই এই ভাললাগা ধীরে ধীরে ভালবাসায় পরিণত হতেই তিনি অনেক কম বয়েসেই তিনি সংসার আত্মীয় পরিজন ত্যাগ করেন । তিনি সন্ন্যাস নিয়ে তার নতুন জীবনযাত্রা শুরু করেন । এরপর তিনি জীবনের সত্যতা নিয়ে নানান মতামত রাখতে শুরু করেন ।

   

এমনকি তার এই আদর্শ যুবশক্তির পাশাপাশি সকলকে আকর্ষণ করতো। তার আদর্শ প্রত্যেকটা মানুষকে জীবনে চলার পথে নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার দিশা দেখাতো । তিনি একমাত্র বাঙালি যিনি কিনা সাফল্যের সাথে আমেরিকার মতো একটি উন্নত দেশে দাড়িয়ে ভাষণ দেন। সেই ভাষণ এমন ছিল যা পুরো বিশ্বকে ভারতের শক্তির পরিচয় করিয়ে দেয়।

স্বামীজির মধ্যে এমন কিছু বিশেষ ব্যাপার ছিলো যার জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তিনি সবসময় অতিথিদের সমদর করতেন। তার কাছে প্রত্যেক অতিথি ছিলেন ভগবানসম , কোনও অতিথি যাতে অভুক্ত না থাকে তাই তিনি নিজে সবসময় খেয়াল রাখতেন । এমনকি তিনি নিজে অভুক্ত থেকেও অতিথিদের মুখে খাবার তুলে দিতেন। স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হন।জানিয়ে দি, আজ ভারতের সমাজ ভারতকে বিশ্বগুরু করার স্বপ্ন দেখে। তবে এই স্বপ্ন প্রথম দেখেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।

এমনকি শিকাগোতে হওয়া অনুষ্ঠানে তিনি যখন ভাষণ রাখেন, তখন অনেক মানুষ তার অনুগামী হয়ে পড়েন । এরপর আস্তে আস্তে ভক্ত সমাগম বারতে থাকায় তিনি তাদের উদ্দেশে জীবনের বাস্তব এবং সত্যতার ওপর অনেক কথা বলতেন। তার মতে জীবনের সব সমস্যায় সেখান থেকে না পালিয়ে সেখানে থেকে আমাদের লড়াই করা উচিৎ । তার এই সমস্ত উজ্জীবিত করা মতাদর্শ আজও ভারতীয়দের মনে তিনি অম্লান হয়ে আছেন।

সম্পর্কিত খবর