ঠিক যেন কলিযুগের শ্রবণ কুমার! বাড়িতে বাবা-মায়ের মন্দির তৈরি করে প্রতিদিন পুজো করেন অবসরপ্রাপ্ত SI

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভারতের প্রতিটি প্রান্তেই অবস্থিত রয়েছে একাধিক দেবদেবীর মন্দির। যেগুলিতে পুজো দিতে ভিড় জমান পুণ্যার্থীরা। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমন একটি মন্দিরের প্রসঙ্গ আপনাদের কাছে উপস্থাপিত করব যা সকলকেই অবাক করে দেবে। এমনিতেই, প্রত্যেকের কাছেই তাঁদের বাবা-মা হলেন সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তাঁদের দেখিয়ে যাওয়া পথ এবং আশীর্বাদকে পাথেয় করেই এগিয়ে যান সকলে। এমতাবস্থায়, একজন অবসরপ্রাপ্ত SI তাঁর বাবা-মায়ের স্মরণে একটি মন্দির নির্মাণ করেছেন।

কলিযুগের শ্রবণ কুমার: এদিকে, এই নজিরবিহীন ঘটনার ফলে সকলেই তাঁকে “কলিযুগের শ্রবণ কুমার” হিসেবে অভিহিত করছেন। কথিত আছে, শ্রবণ কুমার তাঁর অশক্ত বাবা মাকে কাঁধের বাঁকে বসিয়ে তীর্থযাত্রায় বেরিয়েছিলেন। তারপরেই গভীর জঙ্গলে রাজা দশরথের ছোঁড়া তীরে প্রাণ হারিয়েছিলেন তিনি। বাবা-মায়ের প্রতি শ্রবণের এই আত্মত্যাগ গেঁথে রয়েছে সবার মনে।

এদিকে, বর্তমান সময়ে যখন সন্তানদের তাদের বাবা-মাকে নির্যাতন করার অভিযোগ বারংবার সামনে আসছে ঠিক সেই আবহেই বাবা-মায়ের প্রতি ভক্তির এই ব্যতিক্রমী ঘটনাও সামনে এল। জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে বসবাসকারী অবসরপ্রাপ্ত সাব-ইন্সপেক্টর রমেশ বাবু বাড়িতে বাবা-মায়ের স্মৃতিতে একটি মন্দির তৈরি করেছেন।

খবর অনুযায়ী, রমেশ বাবু সবসময় তাঁর বাবা-মায়ের মন্দির তৈরি করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাঁর কাজ নিয়ে এতই ব্যস্ত ছিলেন যে, মন্দির তৈরি করার সময় পাননি। এমতাবস্থায়, চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর রমেশ আর সময় নষ্ট না করে তাঁর বাবা-মায়ের মন্দির তৈরি করিয়েছিলেন। কিন্তু মন্দির তৈরির কিছুদিন পরেই তাঁর বাবা-মা মারা যান।

এই প্রসঙ্গে রমেশ বাবু বলেন, তাঁর বাবা-মা আজ এই পৃথিবীতে নেই। কিন্তু এই মন্দিরের কারণে, তিনি তাঁর বাবা-মাকে সবসময় কাছে অনুভব করেন। শুধু তাই নয়, রমেশ প্রতিদিন তাঁদের মূর্তিতে পুজোও করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে মহারাষ্ট্রের সাংলি জেলায়, একজন ব্যক্তি তাঁর বাবার মৃত্যুর পরে তাঁর স্মৃতিতে সিলিকনের একটি মূর্তি তৈরি করেছিলেন। তবে, এবার বাবা-মায়ের জন্য আস্ত মন্দির তৈরির ঘটনা সামনে এল।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর