মধ্যরাতে শবের সঙ্গে উদুম সঙ্গম! ভিডিও বানিয়ে পর্নসাইটে ব্যবসা! কী কী চলত আর জি করের মর্গে?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আর জি করে ( RG Kar) তরুণী চিকিৎসককে নৃশংসভাবে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে (Doctor Rape and Murder Case) এক সিভিক ভলিন্টিয়ারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে সেই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই (CBI)। আর উঠে আসছে বিস্ফোরক সব তথ্য। সিবিআই সূত্রে খবর, ধৃত সঞ্জয় নেক্রোফিলিক! এমনকি মরদেহের সঙ্গে সহবাস করত সে? রাতভর চলত উদুম সঙ্গম!

শরীরের চাহিদা মেটাতে শবের সঙ্গে সঙ্গম!

আগেই সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছিল, মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়নে এই সিভিককে নিয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে এসেছে। বিকৃত যৌনতায় আক্রান্ত অর্থাৎ ‘সেক্সুয়ালি পারভার্টেড’ আর জি কর কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয়। এমনটাই দাবি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এবার যা তথ্য উঠে আসছে তাতে গায়ের রক্ত জল হয়ে যাওয়ার জোগাড়।

সিবিআই সূত্রের খবর, শুধু হাসপাতালেই নয় হাসপাতালের মর্গেও অবাধ যাতায়াত ছিল সঞ্জয়ের। শেষ কয়েকমাস ধরে নাকি গভীর রাতেও মর্গে আলো জ্বলতে দেখেছেন অনেকেই। আগেই সঞ্জয়ের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ধৃতের ফোন থেকে পাওয়া গিয়েছে মর্গের বেশ কিছু ভিডিও। যা দেখে মাথা কাজ করছে না তাদেরও। ওই ভিডিওগুলিতে নাকি মরদেহের সঙ্গে সঞ্জয়ের সহবাসের ছবিও মিলেছে। এও সম্ভব? থ খোদ সিবিআই।

নেপথ্যে পর্নোগ্রাফির চক্র?

তবে শুধুই কী চাহিদা মেটাতে সহবাস? নাকি এর পেছনে রয়েছে ব্যবসাও? পর্নোগ্রাফির চক্রও কী চলত মর্গে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। আরও কেউ এই ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহত চিকিৎসকের ময়নাতদন্তের যে ভয়াবহ রিপোর্ট সামনে এসেছে, যে পরিমাণ আঘাত ও অত্যাচারের বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া গেছে, তা খতিয়ে দেখে তদন্তকারীদের দাবি, যে বা যারাই এই কাজ করেছিল তারা ‘হিংস্র জন্তুর মতো প্রবৃত্তি’তে আক্রান্ত। ঘটনাচক্রে সঞ্জয়ের সাইকোমেট্রি টেস্টেও সেই একই প্রবৃত্তি ধরা দিয়েছে বারেবারে।

RG Kar

আরও পড়ুন: আরামের দিন শেষ, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ফের কড়া নির্দেশিকা জারি, হুঁশিয়ারিতে উড়ল ঘুম

আগেই জানা গিয়েছে, পর্নের প্রতি গভীর আসক্ত ছিল সঞ্জয়। সূত্রে জানা গিয়েছে ঘটনার দিন রাতে দু’টি যৌনপল্লিতে গিয়েছিল সঞ্জয়। তবে দু’জায়গাতেই নাকি ঝামেলা করে ফিরে আসে আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজের তথ্য অনুযায়ী, ঘটনার দিন ভোর ৩:৪৫ এর দিকে সঞ্জয় থার্ড ফ্লোরের করিডোর দিয়ে হেঁটে যান। প্রায় ৩০-৪০ মিনিট অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার পর ফের তাকে দেখা যায় করিডোরে।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর