বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দেখতে দেখতে পাঁচ মাস হতে চলল। এখনও পর্যন্ত আরজিকরের (RG Kar Case) নির্যাতিতার বিচার অধরা। তরুণী চিকিৎসকের নির্মম-ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের পিছনে জড়িত রয়েছে কে বা কারা? সঞ্জয় রায়-ই কি একমাত্র অপরাধী? নাকি আড়ালে রয়েছে আরও একাধিক অচেনা-অজানা মুখ? এখনও এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষায় তিলোত্তমার বাবা-মা থেকে শুরু করে প্রত্যেক প্রতিবাদী আন্দোলনকারীরা।
আরজিকরের (RG Kar Case) CCTV ফুটেজ দেখে সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কাওকেই চিনল না CBI
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর তদন্তের গতি যে হারে এগোচ্ছে তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। রীতিমতো হতাশ রাজ্যের চিকিৎসকমহল। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন আরজিকর কাণ্ডে (RG Kar Case) তবে কি এবার ‘নো ওয়ান কিলড জেসিকা’-র ছায়া? প্রসঙ্গত বর্তমানে এই আরজিকর কান্ডের বিচার প্রক্রিয়া চলছে শিয়ালদা আদালতে।
সেখানেই চার্জ শিটের সঙ্গে সাড়ে তিন ঘন্টার সিসিটিভি ফুটেজের বিবরণও জমা দিয়েছিল সিবিআই। তদন্তকারীদের দাবি ওই সাড়ে তিন ঘন্টার ফুটেজে ৬৮ বার বিভিন্ন জনকে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। স্টেথো গলায় ঝুলিয়েও যাতায়াত করেছিলেন ডাক্তারদের কেউ কেউ। কিন্তু তাদের কাওকেই নাকি চিনতে পারেনি সিবিআই।
আরজিকর কান্ডের (RG Kar Case) তদন্তে নেমে ইমার্জেন্সি ভবনের চার তলার পালমোনারি মেডিসিন বিভাগে থাকা একমাত্র সিসিটিভির সাড়ে ৩ ঘণ্টার ফুটেজ পরীক্ষা করেছে সিবিআই। সেখানে একমাত্র সঞ্জয় রায়কে’ই ‘আইডেন্টিফাইড’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বাকি সবাইকে ‘কুড নট বি আইডেন্টিফায়েড’ বলা হয়েছে। তবে তারা কারা? তাদের পরিচয় কি?
আরও পড়ুন: বাদ মমতা! অভিষেকের শুভেচ্ছা বার্তা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি
এখনও পর্যন্ত সাড়ে তিন ঘন্টার ওই ফুটেজে সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে গিয়ে ৬৮ বার যাতায়াত করেছেন বিভিন্ন জন। তাদের মধ্যেই তিনবার যাতায়াত করেছে সঞ্জয় রায়। বলা হয়েছে রাত ৪টে ৩ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে সঞ্জয়কে ওয়ার্ডের দিকে যেতে দেখা যায়। রাত ৪টে ৩১ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে ওয়ার্ডের দিক থেকে বেরিয়ে গিয়ে আবার ফিরে যেতে দেখা যায় অভিযুক্ত সঞ্জয়কে। এরপর রাত ৪টে ৩২ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে হেলমেট হাতে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় সঞ্জয় রায়কে।
এছাড়াও ওই সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিরা কে কি পরেছিলেন সেসবের বিস্তারিত বিবরণ দিলেও কাউকেই চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছে সিবিআই। এই অবস্থায় তদন্তের নামে সিবিআই-এর বিরুদ্ধে প্রহসনের অভিযোগ তুলেছেন চিকিৎসকরা। তাই প্রশ্ন উঠছে নির্যাতিতার এই ঘটনার তদন্ত সিবিআই আদৌ করতে পারবে কিনা তা নিয়েও।