বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাস দুয়েক পরেই আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) এক বছর হয়ে যাবে। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়েরই সাজা ঘোষণা হয়েছে। চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের এই মামলায় আর কেউ দোষী সাব্যস্ত হননি। সম্প্রতি সিবিআইয়ের (CBI) তদন্ত নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। এই পরিস্থিতিতে শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) চতুর্থ স্ট্যাটাস রিপোর্ট দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) নয়া স্ট্যাটাস রিপোর্টে কী উল্লেখ?
আরজি কর নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী দাবি করেন, মৃত্যুর আগে ওই তরুণী চিকিৎসককে যাদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল, তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। অর্থাৎ এই ধর্ষণ খুন কাণ্ডে ‘লাস্ট সিন থিওরি’ মেনে তদন্ত হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নিহত চিকিৎসক পড়ুয়ার পরিবারের আইনজীবী।
মঙ্গলবার তিনি আদালতে বলেন, ‘তদন্ত ধামাচাপা পড়া। আসল ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে রিপোর্টে কিছুই থাকছে না’। স্ট্যাটাস রিপোর্টে কেবলমাত্র কপি পেস্ট থাকছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সেই সঙ্গেই প্রশ্ন, তদন্তকারী আধিকারিক কী করছেন? কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) এই ঘটনায় যা তদন্ত করেছে, সেটাই চলছে।
আরও পড়ুনঃ মন্দিরের পবিত্রতা বজায় রাখতে বড় সিদ্ধান্ত! জগন্নাথ ধাম নিয়ে বিরাট পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের
তিলোত্তমার পরিবারের আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, ‘এটি সামাজিক অপরাধ। সেই কারণে আমরা স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাইছি’। একইসঙ্গে তিনি বলেন, এই মামলায় দু’জন অভিযুক্ত আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ আছে। ৯০ দিন তাঁরা হেফাজতে ছিলেন। ওই ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যদি কিছু নাই থেকে থাকে, তাহলে কেন তাঁরা হেফাজতে থাকবেন?
নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী এদিন বলেন, ‘তদন্তে সময় লাগছে মানে তারা কিছু করছেন। কিন্তু কী করছেন?’ পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, আরজি কর কাণ্ডে তদন্ত চলছে। ‘পিএমও পোর্টাল ও সমাজমাধ্যমে ওই ঘটনা সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজের রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে’, বলেন তিনি।
সেকথা শুনে বিচারক বলেন, ‘কেবলমাত্র রিপোর্টের অপেক্ষা করলে হবে না। একজন সরকারি চিকিৎসক নিজের কর্মক্ষেত্রে খুন হয়েছেন। আপনাদের সেটাকে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত’। আগামী ১৬ জুলাই এই মামলায় সিবিআইকে পরবর্তী স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্ট মাসে আরজি কর হাসপাতালের চার দেওয়ালের মধ্যে থেকে এক তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল (RG Kar Case)। ধর্ষণ খুনের এই ঘটনা গোটা রাজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। আর মাস দুয়েক পরেই এই নারকীয় ঘটনার এক বছর হবে। তার আগে শিয়ালদহ আদালতে মামলার চতুর্থ স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা করল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারক এদিন বলেন, একজন সরকারি চিকিৎসক নিজের কাজের জায়গায় খুন হয়েছেন, সেটাকে গুরুত্ব সহকারে আপনাদের দেখা উচিত।