বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার সুপ্রিম (Supreme Court) কোর্টে ছিল আর জি কর (RG Kar) মামলার দ্বিতীয় শুনানি। এদিনও আদালতের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য। চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের মামলার শুনানির শুরুতেই স্ট্যাটাস রিপোর্ট পেশ করে সিবিআই (CBI)। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে একাধিক রিপোর্ট উঠে আসে সুপ্রিম কোর্টে। রীতিমতো প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হয় রাজ্য।
আদালতের প্রশ্নের মুখে সিব্বল (Kapil Sibal)
এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলে। রাজ্যের উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান। নির্যাতিতার দেহ যখন ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় সেই চালান কোথায়? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। ময়নাতদন্তের সময় দেহের সঙ্গে কী কী পাঠানো হয়েছিল সেই বিষয়ে জানতেই এই চালান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর সময় চিকিৎসকরা একটি চালান পূরণ করে তা মৃতদেহের সঙ্গে পাঠান। সেই চালানই সিবিআইকে আদালতে পেশ করার কথা বলেন বিচারপতি। সিবিআই আদালতে জানিয়ে দেন যে তারা কোনও চালান পায়নি। সলিসিটার জেনারেলও একই কথা জানান আদালতে।
সিবিআই এর কথা শুনে থ হয়ে যান বিচারপতি। বিস্ময়প্রকাশ করে বলেন, চালান ছাড়া দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কখনও গ্রহণ করা হয় না, এক্ষেত্রে কী হয়েছে? এই সময় নিজের ফাইলে চালনের কপি খুঁজতে থাকেন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল (Kapil Sibal)। চালানের কপি না থাকায় চরম বিড়ম্বনায় পড়ে যান তিনি। বলেন, চালান নেই। আমার কাছে যা তথ্য সেই অনুসারে ম্যাজিস্ট্রেট লিখিতভাবে যা দিয়েছেন তা ছাড়া কিছু নেই। ফের বিচারপতির প্রশ্ন, ‘চালান ছাড়া ময়নাতদন্ত হল কিভাবে?’
আরও পড়ুন: ফের কড়াকড়ি! রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য বিরাট বার্তা মমতার, মাথায় হাত সকলের
এর কিছুক্ষণ পরই রাজ্য আদালতে জানায়, হাইকোর্টে যে কেস ডায়েরি দেওয়া হয়েছিল সেখানে এই চালান ছিল। আদালতের নির্দেশ, পরের শুনানির দিন চালান আনতে হবে। এই সময়ই বিচারপতি পারদিওয়ালা মন্তব্য করেন, ‘চালান না পেলে বুঝতে হবে, একটা কিছু হয়েছে।’ আর জি কর মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার। সোমবার সিবিআই-কে পরবর্তী স্টেটাস রিপোর্ট জমা করতে বলেছে সুপ্রিম কোর্ট।