স্বজনপোষণে লিপ্তদের ছবি বয়কটের ঘোষণা রূপা গাঙ্গুলির

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অনেক কম বয়সে চলে গেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত (Sushant Singh Rajput)। সেই আত্মহত্যার পর থেকে বলিউডে স্বজনপোষণের অভিযোগ ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছে। মুখ খুলেছেন অনেক অভিনেতা, অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের নিশানায় বলিউডের প্রথমসারির অনেকেই। এমন আবহের মধ্যেই বিজেপির অভিনেত্রী সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa ganguly)। স্বজনপোষণে লিপ্তিদের ছবি বয়কট করবেন বলে জানালেন।

   

রূপা বলেছেন, বলিউডের বিশেষ কয়েকজন আছেন যাঁরা নির্লজ্জভাবে স্বজনপোষণ করেন। এবার সেই সব ব্যক্তিদের ছবি তিনি বয়কট করবেন। রূপা গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদসংস্থাকে বলেন, “আমি নির্দিষ্ট কিছু লোকেদের সিনেমা এরপর আর দেখব না। কারণ, তাঁরা দেশকে একটা বার্তা দিয়েছেন যে, ছোট শহর থেকে আসা ছেলে-মেয়েদের ইন্ডাস্ট্রিতে আসা উচিত নয়। বাবা-মায়েরা অবশ্যই তাঁদের সন্তানদের সাহায্য করতে পারেন। কিন্তু সেটা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া উচিত নয়, যা কাউকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে।”

সুশান্ত সিং রাজপুতের অকালমৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি আগেই জানিয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। একাধিকবার তিনি এনিয়ে টুইট করেছেন। ‘সিবিআই ফর সুশান্ত’ হ্যাসটাগ দিয়ে একের পর এক পোস্ট করেছেন অভিনেত্রী সাংসদ। এবার ছবি বয়কটের কথা জানালেন।

তাঁর আরও বক্তব্য, এটাকে দুর্ঘটনাবশত মৃত্যু না কেন পুলিশ বিবৃতি দিয়ে আত্মহত্যা বলে জানাল? কোনও সুইসাইড নোট ছাড়াই এমনকি ময়নাতদন্তের আগেই পুলিশ কীভাবে এটাকে আত্মহত্যা বলল? কী করে বলা হল সুশান্ত অবসাদে ভুগছিলেন?

সাংসদ আরও বলেছেন, পুলিশ এমনটাও বলছে যে, এই মৃত্যুর ক্ষেত্রে কোনও চক্রান্ত নেই। কিন্তু শরীরে এত বেশি দাগ ছিল কেন? রূপা এমন প্রশ্নও তুলেছেন যে, সুশান্তকে খুন করা হয়েছে, এমনটা কি সম্ভব নয়? তাঁর দাবি, ছাদ থেকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়লেও শেষ যে ছবি দেখা গেছে, তাতে মুখে তার কোনও ছাপ পড়েনি। পুলিশ এখনও বাড়িটি সিল করেনি কেন?

কিন্তু এই তদন্ত সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে হলে তা নিরপেক্ষ হতে পারে। সিবিআই তদন্তের দাবি নিয়ে তিনি তাঁর দলের কোনও নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন কি? রূপা গঙ্গোপাধ্যায় জবাবে সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, সাংসদ হিসেবে তিনি সুশান্তর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানাননি। সাধারণ মানুষ হিসেবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মতামত জানাচ্ছেন। তাই এ ব্যাপারে দলের কোনও সদস্য বা নেতাকে জড়াতে চাননি।

তবে ভবিষ্যতে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে পারেন। একই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকেও সিবিআই তদন্তের জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। টুইটে অবশ্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করেছেন।

সম্পর্কিত খবর