বয়সে ছোট-সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করলেই দাম্পত্যে সুখ, পুরুষদের পরামর্শ সইফের

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে এমন অনেক বিবাহিত জুটি রয়েছে যাদের মধ্যে বয়সের পার্থক্য অনেকটাই। কোথাও স্বামীর বয়স বেশি, কোথাও আবার স্ত্রী বয়সে বড়। এমনি এক জনপ্রিয় জুটি হল সইফ আলি খান (Saif Ali Khan) এবং করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan)। ১০ বছরের বয়সের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও দিব্যি সুখে সংসার করে চলেছেন দুজনে। উপরন্তু সইফের কথায়, করিনাকে বিয়ে করাটাই তাঁর জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত।

দুবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন সইফ। প্রথম বার নিজের থেকে বয়সে বড় অভিনেত্রী অমৃতা সিংয়ের সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। দুই সন্তানের জন্মের পর ভেঙে যায় সে সম্পর্ক। তারপরে আবার করিনার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন সইফ। তবে এই বিয়েটা অত সহজে হয়নি তাঁদের। সইফ প্রথম বিয়ে এবং বয়সের জন্য অনেকেই আপত্তি প্রকাশ করেছিলেন।

কিন্তু কারোর ওজর আপত্তিই ধোপে টেকেনি করিনার জেদের কাছে। ২০১২ সালে নিকাহ হয় করিনা সইফের। তার ঠিক দু বছর পর এক সাক্ষাৎকারে নিজেদের বৈবাহিক জীবনের সফলতার কারণ বলেছিলেন অভিনেতা। তিনি বলেছিলেন, তাঁর জীবনে নেওয়া সবথেকে ভাল সিদ্ধান্ত গুলোর মধ্যে করিনাকে বিয়ে করা অন্যতম। এরপরেই তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সব পুরুষদের পরামর্শ দেব, নিজের থেকে বয়সে অনেক ছোট আর সুন্দরী মেয়েদের বিয়ে করুন। এটা সবথেকে ভাল’।

কারণ হিসাবে সইফ বলেছিলেন, ছেলেরা বয়সের তুলনায় একটু ধীরে পরিণত মনস্ক হয়। আর মেয়েরা তাড়াতাড়ি বুড়িয়ে যায়। অন্যদিকে করিনা বলেছিলেন, অনস্ক্রিনে কোনো বয়স্ক নায়কের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় তিনি করতে চান না। বাস্তবে স্বামী সইফ তাঁর থেকে দশ বছরের বড়। তার থেকেও বেশি বড় হলে তিনি আগ্রহী নন।

প্রসঙ্গত, বহু প্রতিকূলতা সত্ত্বে বিয়ের পরেও বিগত ১১ বছর ধরে সুখে সংসার করছেন সইফ করিনা। ২০১২ তে বিয়ের পর ২০১৬ সালে প্রথম সন্তান তৈমুর আলি খানের জন্ম দেন অভিনেত্রী। তারপর আবার ২০২১ সালে জন্ম হয় তাঁদের ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর আলি খানের।