পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ নির্লজ্জ্য, দাঁড়িয়ে থেকে নিজেরাই পথ অবরোধ করছে, বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ

ভারতবর্ষের নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদে গোটা দেশের মধ্যে প্রথম বাংলাতে সবচেয়ে বেশি আন্দোলন হয়। সেখানে একের পর এক স্টেশন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। কোথাও সরকারি বাস, পোস্ট অফিস, রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টারে টাকা-পয়সা লুটপাট করা হয়। ভারতীয় রেল জানিয়েছে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির একাধিক প্রতিনিধি দল যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জায়গায় সেখানে মানুষের সাথে কথা বলতে চান।

বিজেপি প্রথম থেকেই বলে আসছে বাংলায় কোনো গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার এদের কোন উদ্দেশ্য নেই। বাংলার প্রশাসনের এখানে ৩৫৬ ধারা জারি করা হোক। গতকাল বিজেপি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ মুর্শিদাবাদ জেলা পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাকে তাদেরকে বারবার রাস্তা আঁটকানো হয়।

বিজেপির বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন আমরা ঘোষিতকর্মসূচী ছিল মুর্শিদাবাদে যেখানে হিন্দু বাড়ির হয়েছে বা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলতে যাচ্ছিলাম কিন্তু রাজ্যের পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে রাস্তাতে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দেয় এবং তাদেরকে যেতে বাধা দেয়া হয়। তারপর অন্যপথে মুর্শিদাবাদের যাওয়ার সময় ফের রাস্তা আটকে রাখা হয়। পুলিশের উপর তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, তিনি বলেন রাজ্যের পুলিশ যেভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে তা বলার ভাষা রাখে না। যেভাবে কৈলাস জির এবং আমার গাড়ি আটকানো হল আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অবিলম্বে চিঠি লিখব এবং জানাবো।

পুলিশ কেন অনুমতি ছাড়াই রাস্তা আটকায়। পুলিশ সূত্রের খবর, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই বিজেপি সাংসদদের যেতে দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সৌমিত্র খাঁ বলেন যদি তাই হয় তাহলে আইন সবার জন্য সমান তার আগের দিনকে মুর্শিদাবাদের সাংসদ কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী প্রকাশ্যে সভা করে, রাজ্য সরকারের সমলোচনা করে এবং একটা শ্রেণীর মানুষ এই তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয় রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী মিছিল করে করেছে সেই মিছিলে নাম দেওয়া হয়েছে ‘শান্তি মিছিল’তখন কেন পুলিশ তাদেরকে আটকাতে পারিনি এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। সৌমিত্র খাঁ এই অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

তারা ইতিমধ্যে রিপোর্ট করেছে এবং সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য পুলিশের কাছে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চাইতে পারে। গতকালই কোচবিহারের সাংসদ নিশির প্রামাণিক ও মালদা সাংসদ খগেন মুর্মু কে আটক করে এবং কিছুক্ষণ পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে আইন শৃঙ্খলা যাতে হাতের বাইরে না যায় সেই জন্যই বিজেপির প্রতিনিধিদলকে যেতে দেওয়া হয়নি কিন্তু বিজেপি তা মানতে নারাজ তারা। এই আন্দোলনকে ছোট ভাবে না নিয়ে গিয়ে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন বলে জানিয়েছেন ইতিমধ্যে সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন আগামী২১ তারিখ কার বিষ্ণুপুর লোকসভা এনআরসির সমর্থনে বিশাল মিছিল করবেন।

সম্পর্কিত খবর