মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকার, অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হলো পরীক্ষা

গতকালই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল জানিয়েছেন ফেব্রুয়ারি মাসের আগে কোনোভাবেই বোর্ডের পরীক্ষা নেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই সিদ্ধান্ত মেনেই অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে গেল রাজ্যের মাধ্যমিক (secondary)  ও উচ্চমাধ্যমিক (higher secondary) পরীক্ষা।

উচ্চমাধ্যমিক,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,higher secondary,mamata Banerjee,bengali,bengali news,মাধ্যমিক,secondary

   

শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন,  যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে তবে জুন মাসে পরীক্ষা হতে পারে। ২৪ মার্চ থেকে স্কুল বন্ধ থাকায় সিলেবাস শেষ হয়নি কোনো স্কুলেই।  এই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ে পরীক্ষা নিলে সমস্যায় পড়বে ছাত্র ছাত্রীরা।

করোনার নতুন স্ট্রেন এর সন্ধান পাওয়ার পর আগে থেকেই সতর্ক হয়েছে দেশ। নতুন স্ট্রেন আগের থেকেও ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এর ফলে ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধীরে চলো নীতি নিয়েছে দেশ৷ গতকাল রমেশ পোখরিয়াল জানিয়েছেন,  ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত করোনার সংক্রমণের ওপর নজর না রেখে বোর্ডের পরীক্ষা হবে না। সেই সিদ্ধান্তকেই স্বাগত জানাল বাংলাও।

অন্যদিকে ফেব্রুয়ারি মাসের পর বাংলায় বিধানসভা ভোট। সে সব পার করে আপাতত জুন মাসকেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়ার জন্য পাখির চোখ করেছে সরকার।

প্রসঙ্গত,  উচ্চমাধ্যমিক (higher secondary)  পরীক্ষার আর দেরি নেই। অথচ স্কুলে বন্ধ পঠন পাঠন। অনলাইনে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের আগেই ট্যাব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata Banerjee) । কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এতো শিক্ষার্থীর কাছে ট্যাব পৌঁছে দেওয়া অসম্ভব। তাই এবার ট্যাব কেনার জন্য প্রত্যেকের একাউন্টে ১০ হাজার টাকা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সাড়ে নয় লাখ ছাত্র ছাত্রীকে ট্যাব দেওয়ার যে ঘোষণা করা হয়েছিল তা সম্ভব নয়। টেন্ডার ডেকে খুব বেশি এক থেকে দেড় লাখ ট্যাবের বন্দোবস্ত করা যেতে পারে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে চীনা ট্যাব কিনতেও বারণ করা হয়েছে। এই কারনে সকলের একাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সম্পর্কিত খবর