সবুজ সোনা, এই গাছের পাতা বিক্রি করেই আয় ৬৩০ কোটি টাকা! ১২ লাখ মানুষের হয়েছে কর্মসংস্থান

বাংলাহান্ট ডেস্ক : যত দিন যাচ্ছে যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে জনসংখ্যা, আর ততোই কমছে কর্মসংস্থানের সুযোগ। চাকরির খোঁজে গ্রাম-গঞ্জ থেকে মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন শহরে। এর ফলে ক্রমশ খালি হচ্ছে গ্রামীণ এলাকা। ভিড় বাড়ছে শহরে। আমাদের দেশে কর্মসংস্থান নিয়ে সমস্যা বহুদিনের। সরকারি কোষাগারে বেহাল অবস্থার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ নিয়োগ হয় না সরকারি দপ্তরে। বেসরকারি সংস্থার অফিসগুলিও শহরকেন্দ্রিক। তাই যেকোনো কাজের সন্ধানে গ্রাম গঞ্জের ছেলে মেয়েদের পাড়ি দিতে হয় শহরে। এবার এই সমস্যার সমাধান করে দেখালো ছত্রিশগড় সরকার।

   

তেঁদু নামে এক ধরনের গাছের পাতা আছে। ছত্রিশগড়ের সরকার এই তেঁদু পাতার মাধ্যমেই কর্মসংস্থানের দিক দেখিয়েছে। সরকারের দাবি, চলতি বছরে প্রায় এই পাতা দিয়ে তৈরি ১৫ লক্ষ স্ট্যান্ডার্ড ব্যাগ তারা সংগ্রহ করেছে। যা তাদের পূর্ব বছরে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৯৪ শতাংশ বেশি। এই কাজের মাধ্যমে গ্রাম গঞ্জের কৃষকেরা প্রায় ৬৩০ কোটি টাকা আয় করেছেন বলেও খবর।

ছত্রিশগড় সরকার বহুদিন ধরে তেঁদু পাতাকে ভিত্তি করে সহকারী স্তরে প্রচার চালাচ্ছে। সরকারের এই বিশাল সাফল্যের পর তাদের দাবি, প্রত্যন্ত গ্রামের আদিবাসী শ্রেণীর মানুষেরা এই ধরনের ব্যবসা করে উপার্জন করছেন। ছত্রিশগড় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৯ লক্ষ ৭৩ হাজার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাগ তেঁদু পাতা থেকে উৎপন্ন হয়, এর পর ২০২১ সালে ১৩ লক্ষ ৬ হাজার, আর এই বছর ১৫ লক্ষ ৭৮ হাজার তেঁদু পাতার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাগ সংগ্রহ হয়েছে। এই বছর প্রায় ২১ শতাংশ বেড়েছে সংগ্রহের পরিমাণ।

ছত্রিশগড়ের মাইনর ফরেস্ট প্রডিউস অ্যাসোসিয়েশন এর বক্তব্য, মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার জেলা থেকে সর্বোচ্চ পাতা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি দান্তেওয়ারা, জগদলপুর, সুকমা, মানব অঞ্চলের বাসিন্দারা এই ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করছেন।

Avatar
Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর