ভারতের মহিলা স্বাধীনতা সংগ্রামী, যাদের ভয়ে কাঁপতো ইংরেজ ও দেশের শত্রুরা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারতের (India) ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে আমরা ফিরে যাব সেই পূর্বেকার ঐতিহাসিক সময়ে। যেসময়ে ব্রিটিশদের অমানবিক তথা পাশবিক অত্যাচারের বিরুদ্ধে যখন পরাধীন ভারতীয়রা দিশেহারা, যখন তাঁদের আর পেছোবার পথ নেই, এমন সময় জন্ম নেয় ভারতের বীর যোদ্ধারা। আজ থেকে প্রায় ৪২০ বছর পূর্বে অর্থাৎ ১৬০০ সালে ‘দ্যা কোম্পানি অফ মার্চেন্টস অফ লন্ডন ট্রেডিং ইন্টু দি ইস্ট ইণ্ডিস’ নামে ব্রিটিশ ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানি বাণিজ্যের অছিলায় প্রবেশ করে ভারতে। এরপর প্রায় ২ দশক পরে তারা গাঙ্গেয় অঞ্চলে স্থাপন করে একটি বাণিজ্য কুঠি।

নিজের দেশে অন্যের অত্যাচার সহ্য করতে পারছিল না ভারতবাসী। এবার ওদের পিছু হটতেই হবে। বিভিন্ন রকম আন্দোলন করে, অবশেষে যখন দেওয়ালে পিট ঠেকে গিয়েছিল, সেই সময় আবারও ঘুরে দাঁড়াল স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। মরণ লড়াইয়ে নেমে ভারতমাতাকে ইংরেজ শাসনের শেকল থেকে মুক্তি দিয়ে, ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট নিয়ে এসেছিল এক নতুন ভোর।

এই স্বাধীনতার যুদ্ধে ভারতের বীর যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কথা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে খোদাই করা আছে। তাঁদের শক্তি, বুদ্ধি, সাহস এবং বীরত্বের গল্পগুলো এখনও ইতিহাসের পাতায় লেখা রয়েছে। দেশকে স্বাধীন করার পেছনে ভারত মাতার পুরুষ সন্তানরা যেমন নিজেদের বলিদান দিয়েছেন, তেমনই অনেক মহিলাও ছিলেন যারা ভারতের এই মুক্তিযুদ্ধে সামিল হয়েছিলেন।

মহারাণী লক্ষ্মীভাই, সিস্টার নিবেদিতা, মাদলাইন স্লেড, ম্যাডাম ভিকাজি কামা, কস্তুরবা গান্ধী, সরোজিনী নাইডু, কমলা নেহেরু, অরুণা আসিফ আলী, বিজয় লক্ষ্মী পণ্ডিত, দূর্গাবাই দেশমুখ, ডাঃ লক্ষ্মী শেহগাল, সুচেতা কৃপালানী, কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায়, আনসুইয়া বাই কালে, রাজকুমারী অমৃত কৌর, কনকলতা বড়ুয়া, রেহানা তৈয়ব, কল্পনা দত্ত, ননি বালা দেবী, প্রীতি লতা ওয়াদেদার প্রমুখের নাম ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে যুক্ত রয়েছে।

দেশ মাতৃকাকে ব্রিটিশে নাগপাশ থেকে মুক্ত করতে, স্বাধীনতার যুদ্ধে এই সকল মহিলারা পুরুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ে গেছেন। বাড়ির লক্ষণ রেখা পেরিয়ে পুরুষদের সাথে সমান তালে লড়ে গেছেন দেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর