বাংলাহান্ট ডেস্ক : শাহ আব্দুল করিম (Shah Abdul Karim), কি চিনতে পারলেন না তো? ভাবছেন কার না কার নাম নিয়ে শুরু করছি আজকের প্রতিবেদন? আসলে আজকের এই প্রতিবেদনটি যাকে নিয়ে তিনি তাঁর নামের মাধ্যমে নয়, আমাদের কাছে বেশি পরিচিত তাঁর সৃষ্টির মাধ্যমে। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জে জন্ম নেওয়া শাহ আব্দুল করিমের গান শোনেননি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দায়।
শাহ আব্দুল করিমের (Shah Abdul Karim) জীবন
বাংলার ‘বাউল সম্রাট’ বলা হয়ে থাকে শাহ আব্দুল করিমকে। তবে আজকের প্রজন্ম কতটা চেনে এই মহান স্রষ্টাকে তা নিয়ে কিন্তু রয়েছে সংশয়। শাহ আব্দুল করিম জীবদ্দশায় ৫০০ টিরও বেশি গান রচনা করেছেন। শুধু গান রচনাই নয়, আব্দুল করিম ছিলেন একাধারে সুরকার, গীতিকার ও সঙ্গীত শিক্ষক। শাহ আব্দুল করিমের হাত ধরে বিশ্বমঞ্চে সমাদৃত হয় বাংলা বাউল গান (Folk Song)।
বাংলা একাডেমীর উদ্যোগে তাঁর ১০টি গান ইংরেজিতে অনূদিতও হয়। বন্দে মায়া লাগাইছে পিরিতি শিখাইছে, আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম, বসন্ত বাতাসে সইগো, আসি বলে গেল বন্ধু আইলনা, তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো – এর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা শাহ আব্দুল করিম । কিশোর বয়স থেকেই শাহ আব্দুল করিম গান রচনা শুরু করেন।
আরোও পড়ুন : বিতর্কের মাঝে গ্রেফতার ইউনূস কন্যা, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে গ্রেফতার? ফাঁস হলো সত্য
প্রথমদিকে শুধুমাত্র স্থানীয় এলাকাতেই পরিচিত ছিল তাঁর গান। তবে পরবর্তীকালে বেশ কিছু জনপ্রিয় শিল্পী (Singer) নতুনভাবে শাহ আব্দুল করিমের (Shah Abdul Karim) গান উপস্থাপনা শুরু করেন। তারপর থেকেই দেশ তথা বিশ্বে বাউল গানের জগতে সূর্যের রশ্মির মতো ছড়িয়ে যায় শাহ আব্দুল করিমের নাম।
ছোটবেলা থেকেই শাহ আব্দুল করিমের জীবন অতিবাহিত হয়েছে চরম দারিদ্রতায়। স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মাত্র ৮ দিন। তবে দারিদ্রতা দমাতে পারেনি শাহ আব্দুল করিমের কলমকে। ১২ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে ৯৩ বছর বয়সে সিলেটের সুনামগঞ্জে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাংলার বাউল জগতের এই অলৌকিক প্রতিভা।