বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একদিকে দেশে সন্ত্রাসবাদের আতঙ্কে আতঙ্কিত। তখন আরেকদিকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে লড়াই করা বলবিন্দর সিং ভিখিবিন্ডকে (Balwinder Singh) ওনার বাড়ির সামনে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করে। বলবিন্দর সিং শৌর্য পদক বিজয়ী ছিলেন। ওনার জীবনে নিয়ে অনেক টেলিফিল্মও হয়েছিল। ওনার পরিবার এটিকে একটি জঙ্গি হামলা বলে আশঙ্কা জাহির করেছে।
শুক্রবার সকাল সাতটা নাগাদ বলবিন্দর সিং বাড়িতেই ছিলেন। সেই সময় বাইকে সওয়ার দুজন দুষ্কৃতী ওনার বাড়ির বাইরে এসে দাঁড়ায়। এক যুবক বাইরেই দাঁড়িয়ে ছিল, আর এক যুবককে বলবিন্দর সিং নিজের বাড়ির অফিসে ডেকে নেন। অফিসে ঢুকতেই ওই যুবক পিস্তল বের করে ওনার উপর চারটি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই বলবিন্দর সিংয়ের মৃত্যু হয়।
পুরো ঘটনা বাড়ির ভিতরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায় বন্দি হয়ে যায়। ওনার চাই রঞ্জিত সিং সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন যে, এটি একটি জঙ্গি হামলা হতে পারে। শোনা যাচ্ছে যে, বলবিন্দর সিং নিজের বাড়ির পাশে একটি পাবলিক স্কুলও চালাতেন। প্রায় একবছর আগেও ওনার উপর অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতীরা হামলা করেছিল।
গ্রামের প্রধান রাজেন্দ্র সিং বলেন, এর আগেও ওনার উপর অনেক হামলা হয়েছিল। পাঞ্জাব পুলিশের তরফ থেকে ওনাকে সুরক্ষাও দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেটাও তুলে দেওয়া হয়। তিনি পাঞ্জাব পুলিশের আইজি আর আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়ে ব্যাক্তিগত ভাবে সাক্ষাৎ করে সুরক্ষার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরেও ওনাকে সুরক্ষা দেওয়া হয়নি। কিছুদিন আগে দুই দিনের জন্য ওনার সুরক্ষায় এক পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু পরে সেতিও তুলে নেওয়া হয়। গ্রামের প্রধান বলবিন্দর সিংয়ের মৃত্যুর জন্য পুলিশ আর সরকারকে দায়ি করেছেন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, পাঞ্জাবে যখন সন্ত্রাসবাদ চরম সীমায় পৌঁছে গিয়েছিল। তখন বলবিন্দর সিং বীরের মতো তাঁদের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করেছিলেন। ওনার উপর প্রায় ২০ বার বড় হামলা হয়েছিল। হ্যান্ড গ্রেনেড আর রকেট দিয়ে হামলা করা অনেক জঙ্গিকেই উনি খতম করেছিলেন। ২০০ জঙ্গিকে হারানর জন্য ওনার নাম সর্বদা শিখরে থাকবে। ১৯৯৩ সালে বলবিন্দর সিং ওনার ভাই আর স্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি শৌর্য চক্র দিয়ে সন্মানিত করেছিলেন।