চলছে অম্বুবাচী; জেনে নিন শাস্ত্রমতে এই তিন দিনের মাহাত্ম্য ও বিধিনিষেধ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভারত (india) এর সভ্যতা চিরকালই কৃষিপ্রধান। প্রকৃতিকে ‘মা’ হিসাবে মেনেই এই অম্বুবাচী উৎসব চলে এসেছে প্রাচীণ কাল থেকেই। রয়েছে ধর্মীয় মাহাত্ম্য ও বিধিনিষেধও

প্রতিটি নারী যেমন সন্তান ধারনের আগে রজঃস্বলা হন তেমনই ফসল ধারনের আগে রজঃস্বলা হন ধরিত্রীও। প্রতি আষাঢ় মাসের সপ্তম থেকে দ্বাদশ এই তিন দিনে তাই পালিত হয় অম্বুবাচী। হিন্দু শাস্ত্রে পৃথিবীকে নারী রূপে পূজা করে মা বলে সম্মোধন করা হয়৷ সেই সনাতন বিশ্বাস থেকেই মনে করা হয় আষাঢ়ের এই কদিন পৃথিবী ঋতুমতী থাকে।

আসলে এর সাথে মিশে আছে প্রাচীন কৃষি প্রধান ব্যাবস্থা। নারী যেমন ঋতুমতী হবার পর সন্তান ধারনে সক্ষম হন, তেমনই অম্বুবাচীর পর বীজ বপন করলে ভাল ফলের আশা রয়েছে বলে মনে করেন সনাতন ধর্মবিশ্বাসীরা।

শাস্ত্র অনুসারে এই ক’দিন বিশেষ কিছু কর্ম থেকে বিরত থাকতে হয়;
• এই সময় চাষ আবাদ করতে নেই। এমনকি মাটি কোপানো বা বৃক্ষ রোপণও নিষিদ্ধ
• এই সময় কোনো ভাবেই সাপকে আঘাত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে
• এই সময়ে নারী পুরুষের মধ্যে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে নেই
• জমি,বাড়ি ক্রয় বিক্রয় ও কোনো শুভ কাজ থেকে এই কদিন বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে
• বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া যাত্রা নিষেধ। তবে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা হতে পারে
• আদি শক্তির যে কোনো রূপ এই সময় ঢেকে রাখতে বলা হয়েছে। অর্থাৎ দূর্গা, কালী, চণ্ডী প্রভৃতি দেবীর মুখ ঢেকে রাখতে বলা হয়।

এই সময় সবচেয়ে বড় উৎসব হয় আসামের কামাখ্যায়। যদিও এবার করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এর কারনে তা বন্ধ রয়েছে

সম্পর্কিত খবর