বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিশেষ মানুষের জন্মদিন! সেটাকে কি বিশেষ না করে তুললে চলে? কথা হচ্ছে শোভন প্রেয়সী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে। গতকালই ছিল তাঁর জন্মদিন। প্রিয়তমার জন্মদিনকে জৌলুস ও ভালবাসা দিয়ে সাজিয়ে দিতে কোনও খামতিই যে রাখেননি শোভন চট্টোপাধ্যায় তা বলাই বাহুল্য। ২৪ তারিখ রাত ১২ টা থেকে সেই জন্মদিন উদযাপন শুরু হয়ে তা চলল ২৫ তারিখ মধ্যরাত অবধিই।
২৪ তারিখ ঠিক রাত বারোটায় প্রিয়তমকে পাশে নিয়েই কেক কাটেন বৈশাখী। কিন্তু জন্মদিনে ভালোবাসার মানুষকে কী উপহার দিলেন শোভন? জানা যাচ্ছে যে সে নয়, একেবারে ভালোবাসায় ভরা উপহারই দিয়েছেন শোভন। বৈশাখীর দাবি, ‘আমার অস্তিত্বটাই তো শোভনের উপহার দেওয়া।’ অন্যদিকে শোভনের মতে, ‘একে অপরে পাশে থাকা, একে অপরের সঙেগ থাকাটাই জীবনের প্রকৃত উপহার।’
উল্লেখ্য, গত মাসেউ স্বামী মনোজিতের সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদ হয়েছে বৈশাখীর। বৈশাখীর ডিভোর্সে যে খুশি তিনি সেকথা একাধিকবার জানিয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। তিনি জানিয়েছেন যে এতদিন পর অবশেষে মুক্তির স্বাদ পেল বৈশাখী।
গত চার বছর ধরেই সহবাস করেন তাঁরা। তাঁদের সঙ্গেই থাকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ে মেহুল। মেয়ের জীবনেও শোভনের প্রভাব অপরিসীম বলেই দাবি বৈশাখীর। এই যুগলকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই রাজ্যবাসীর। মানুষের সেই কৌতুহলের খোরাক দিতেও অবশ্য পিছপা হন না তাঁরা। কখনও স্যোশাল মিডিয়ায় অন্তরঙ্গ ছবি, আবার কখনও একই সঙ্গে রংমিলান্তি পোষাকে ঘোরাঘুরি, সর্বদাই একই সঙ্গে দেখা মেলে তাঁদের। এমনকি পুজোর সময় বৈশাখীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিতেও দেখা গিয়েছিল শোভনকে। শুধু তাই নয়, বিবাহ বিচ্ছেদের পরও কার্যতই শাঁখা সিঁদুর পরিহিতা রূপেই ধরা দেন বৈশাখী। সেই সব নিয়ে নিত্যই মিম এবং ট্রোলের বন্যা স্যোশাল মিডিয়ায়। তবে সেসবের কোনওটিতেই অবশ্য কান দিতে নারাজ এই কপোত-কপোতী!
Made in India