বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত এপ্রিল মাসে নিয়োগ দুর্নীতির কারণে ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এর ফলে একধাক্কায় বাতিল হয়ে যায় ২৬,০০০ চাকরি। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) অবধি। এবার এই মামলা নিয়েই সামনে আসছে নয়া আপডেট।
এসএসসি চাকরি বাতিল মামলায় (SSC Recruitment Scam) বড় খবর!
গত ১৮ এপ্রিল ২০২৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এই রায় দেওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই তা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং এসএসসির তরফ থেকেও এর তীব্র বিরোধিতা করা হয়। এবার এই মামলাতেই সুপ্রিম কোর্টে আরও ১০০টি আবেদন জমা পড়ল।
জানা যাচ্ছে, হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে ওই আবেদনগুলি জমা পড়েছে। সুদীপ পোড়েল সহ ৯৩ জন সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন জানিয়েছেন। আগামী বৃহস্পতিবার ওই মামলাগুলি শুনানির তালিকায় রয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুনঃ পড়ুয়াদের নিরাপত্তার জন্য বড় পদক্ষেপ! প্রাথমিকে চালু হল নয়া হাজিরা পদ্ধতি
এদিকে আগামী ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Justice Sanjiv Khanna) ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি বাতিল সম্বন্ধিত মূল মামলার শুনানি হওয়ার কথা। মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীদের অনুমান, এই ১০০ জনের আবেদন শুনানির তালিকায় থাকলেও, শেষ অবধি শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা কম। মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত করে আবেদনগুলি শুনতে পারে সর্বোচ্চ আদালত।
সুদীপদের দাবি, কলকাতা হাইকোর্টের ২৬,০০০ চাকরি বাতিল নিয়ে রায়ের বিরুদ্ধে রক্তব্য শোনা হোক। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে, এর আগেও এসএসসি চাকরি বাতিল (SSC Recruitment Scam) নিয়ে প্রচুর আবেদন জমা পড়েছে। ইতিমধ্যেই সেই সংখ্যা হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।
অন্যদিকে এসএসসি চাকরি বাতিল মামলার গত শুনানিতে মেটা ডেটা খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলায় যোগ্য অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বাছাই করার মাপকাঠি হিসেবে যে ওএমআর শিটের কথা বলা হচ্ছে, সেটার সত্যতা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, কেউ ওএমআর শিটের মিরর ইমেজটাও সংরক্ষণ করেনি। ফলে এক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা মেটা ডেটা! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, এই মামলায় (SSC Recruitment Scam) যদি যোগ্য অযোগ্য প্রার্থী বাছাই করা সম্ভব না হয়, তাহলে সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা হতে পারে। আগামী ৭ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির আগে মেটা ডেটা খোঁজার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।