উচ্চ মাধ্যমিকে অঙ্কে ফেল, তারপরেও আজ IAS, যুবকদের অনুপ্রেরনা সইদ রিয়াজ আহমদ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দুর্মূল্যের বাজারে সরকারি চাকরি (Govt Job) পাওয়া একরকম স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই যেখানে শূন্যপদ ১০ টি তো আবেদন করছেন ১০ হাজার। তাহলে পরিক্ষায় প্রতিযোগিতা যে কত কঠোর হয়ে উঠেছে তা সবাই আন্দাজ করতে পারছে কয়েকবছরে। সেখানে পরিক্ষার নাম যদি হয় UPSC! তাহলে তার প্রতিযোগিতার মাত্রা কোন উচ্চতায়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে চাকরি প্রার্থী যদি দ্বাদশ শ্রেণীর পরিক্ষায় অঙ্কে পাশ করতে ব্যর্থ হয় এবং সেই-ই যদি পরে IAS অফিসার হয়ে যায়, তাহলে তার যাত্রা বাকিদের কাছে কতটা অনুপ্রেরণা হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, তেমনই এক IAS অফিসার সইদ রিয়াজ আহমদের সন্মন্ধেঃ

বাকি পাঁচটা গড়পড়তা ছাত্রদের মত রিয়াজও ছিল তেমনই। দ্বাদশ শ্রেণীর পরিক্ষায় অঙ্কে ফেল করার পর, রিয়াজের বাবাকে মাস্টারমশাই বলেছিলেন, তাঁর দ্বারা কিচ্ছু হবে না। তবে রিয়াজের বাবার আস্থা ছিল ছেলের উপর। তাই তো সেদিন মাস্টারমশাইকে তিনি বলেছিলেন একদিন রিয়াজও পাঁচ জনের একজন হবে। বাবার সেই আস্থা ও বিশ্বাস বজিয়ে রাখল রিয়াজ। কঠোর পরিশ্রম করে হয়ে গেল IAS অফিসার।

Do You Know About Syed Riyaz Ahmed Ias Upsc - मां ने सातवीं तो पिता ने तीसरी तक की है पढ़ाई, अब बेटा बना Ias, आखिर क्या थी ये 123 स्ट्रेटजी -

এখন আপনাদের মনে অবশ্যই এমন প্রশ্ন জাগছে কিভাবে সম্ভব হল এমনটা! তার উত্তরও পেয়ে যাবেন। মহারাষ্ট্রের নাসিকের বাসিন্দা সইদ রিয়াজ আহমদ। পুনে ইউনিভার্সিটির স্নাতকোত্তর। পরে তিনি সিদ্ধান্ত নেন UPSC দেবেন। শুরু করেন IAS হওয়ার প্রস্তুতি। সেই থেকে পাঁচ বছরের অধ্যাবসায় ও একাগ্রতার মাধ্যমে হয়ে উঠলেন IAS অফিসার।

পাঁচ বছরের সেই কঠোর যাত্রায় রিয়াজ ২০১৪-য় শুরু করেন প্রস্তুতি। ১৪, ১৫- প্রিলিমিনারি পাশ করতে পারেননি। তারপর ২০১৬-য় প্রিলিমিনারি, মেনসে কোয়ালিফাই করলেও সিলেক্ট হননি রিয়াজ। ২০১৭-তেও কান ঘেঁষে বেরিয়ে যায় সাফল্য। অবশেষে ২০১৮-য় UPSC-র হার্ডল টপকে ফেলেন। তবে সংঘাতটা এতটাও সহজ ছিল না। মাঝে ইচ্ছাশক্তি হারিয়ে সবকিছু ছেড়ে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রিয়াজ। তবে তখন সেই তার প্রতি আস্থাভাজন বাবাই তাকে লড়াই জারি রাখার কথা বলেছিলেন।

এখন জানুন অতিসাধারণ মেধার ছাত্র থেকে IAS অফিসার হয়ে ওঠা এই রিয়াজের টিপসঃ

UPSC-র প্রস্তুতি জীবনের আসল মূল্যবোধ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে সবকিছু গুলিয়ে ফেললে হবে না, বিষয় সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারনা, বইয়ের বিভাজন এবং কঠোর পরিশ্রমই হয়ে উঠবে আপনার সাফল্যের চাবিকাঠি।

সম্পর্কিত খবর