সীমান্তে উত্তেজনা, পাক সেনারা গুলিতে শহীদ হলেন নদীয়ার সুবোধ ঘোষ

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মাত্র ২৪ বছর বয়সেই জীবনের সব আলো নিভে গেল নদিয়ার (Nadia) বীর শহিদ জওয়ান সুবোধ ঘোষের। ভূত চতুর্দশীর রাতে নিকষা অন্ধকারে ছেড়ে গেল নদিয়ার তেহট্টর রঘুনাথপুর গ্রামে সুবোধের বাড়ি। তিন মাসের দুধের শিশুকন্যাকে বুকে জড়িয়ে ধরে হাউহাউ করে কেঁদে উঠলেন স্ত্রী অনিন্দিতা ঘোষ। সীমান্ত সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেই পাকিস্তানের হামলায় প্রাণ হারান সুবোধ।

অল্প বয়সেই নিজের যোগ্যতায় ভারতীয় সেনাবাহিনীতে জায়গা করে নিয়েছিলেন নদীয়ার সুবোধ। ১ বছর আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধও হয়েছিলেন। মেয়ে হওয়ার সময় মাত্র একমাসের ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন সুবোধ। তারপর আবারও ডিসেম্বরে ছুটিতে বাড়িতে আসার কথা ছিল তাঁর।

সেনাবাহিনীর তরফ থেকে যখন শুক্রবার বিকেল ৪ টেয় সুবোধের মৃত্যু সংবাদ দেওয়া হয়, তখন তাঁর গোটা পরিবার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। ভূতচতুর্দশীর রাতে চোদ্দ প্রদীপের আলো তো দূরস্তর, নিকষা কালো অন্ধকারে ডুবে গিয়েছিল গোটা বাড়ি। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই স্বামীকে হারিয়ে সদ্য বিবধা স্ত্রী অনিন্দিতা এবং তাঁর মা বাসন্তী ঘোষের চোখের জল বাঁধ মানে না। স্ত্রী অনিন্দিতা জানায়, ‘বৃহস্পতিবার মেয়েকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সময় স্বামী বারবার ফোন করছিল। কিন্তু আজকে ফোন বন্ধ থাকায় বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলাম’।

গোটা দেশ যখন দীপাবলির আলোর উৎসবে মেতে উঠেছে ঠিক সেই সময়, সীমান্ত এলাকায় সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে উত্তর কাশ্মীরের বারামুলায় উরি সেক্টরে হামলা চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তানের আচমকা হামলায় ছোঁড়া গুলিতে ৬ জন নাগরিক এবং ৫ জন ভারতীয় সেনা প্রাণ হারান। তাঁর মধ্যেই ছিলেন নদীয়ার বছর ২৪ -এর সুবোধ ঘোষ। ভারতও এই হামলার পাল্টা জবার দিয়ে পাকিস্তানের বাঙ্কার গুঁড়িয়ে দিয়েছে একের পর এক।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর