বন্ধুদের থেকে ধার করে আস্তাকুঁড় নিয়ে গড়ে তোলেন ব্যবসা, আজ আয় কোটি কোটি টাকা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কথায় বলে ব্যবসার থেকে বেশি অর্থ কোন চাকরীতে উপার্জন করা যায় না। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে লাভ ক্ষতি দুটোই ব্যবসায়ীকে মেনে নিতে হয়। আবার ব্যবসা করার জন্য অনেক অর্থেরও প্রয়োজন হয়। তবে মানুষের ফেলে দেওয়া বর্জ্য আবর্জনাকে ব্যবহার করেই এক ব্যবসা শুরু করলেন যোধপুরের বাসিন্দা লোহিয়া দম্পতি। যার সেখানে তাঁদের বার্ষিক টার্নওভার ৪৫ কোটি টাকা।

   

প্রীতি ইন্টারন্যাশনালের নামের এক হস্তশিল্পের সাম্রাজ্য তৈরি করেছে লোহিয়া দম্পতি। যেখানে রয়েছে মানুষের ফেলে দেওয়া বর্জ্য আবর্জনা থেকে তৈরি জিনিস। শুধু এদেশেই নয়, তাঁদের এই হস্তশিল্পের চাহিদা আর ৩৬ টি দেশেও রয়েছে। আর তাঁদের তৈরি করা সেই সমস্ত জিনিসের দিকে আকর্ষিত হচ্ছেন মানুষজনও।

যোধপুর,বাংলা খবর,ব্যবসা,bangla news,business,indian rupee,money,crore

অনেকেই তাঁদের তৈরি জিনিস কিনছেন, আবার অনেকেই সেই জিনিসের সঙ্গে সেলফিও নিচ্ছেন। গাড়ির বনেট ও সিট দিয়ে তৈরি সোফা মানুষকে এতোটাই আকর্ষিত করেছে যে, সেখানে না বসে কেউই যাচ্ছেন না। এমনকি পরিবার নিয়ে বসে ছবিও তুলছেন সেখানে।

২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত শাস্ত্রীনগরে বসবাসকারী রিতেশ লোহিয়া নানা ধরনের ব্যবসা করলেও, কোনটাতেই সাফল্য লাভ করতে পারেনি। তারপর হঠাৎ করেই স্ত্রী প্রীতিকে সঙ্গে নিয়ে ফেলে দেওয়া জিনিস নতুন করে ব্যবহার করে কিছু তৈরি করার পরিকল্পনা করেন। আর ভাবনা মতই কিছু জিনিস তৈরি করে তা স্যোশাল মিডিয়ায় আপলোডও করে দেন।

যোধপুর,বাংলা খবর,ব্যবসা,bangla news,business,indian rupee,money,crore

ছবি আপলোড করার কিছুদিনের মধ্যেই ডেনমার্ক থেকে প্রথম অর্ডার পান তাঁরা। হাতে অর্থের টানাটানি থাকায় বন্ধুর কাছ থেকে কিছুটা অর্থ ধার নিয়ে অর্ডার তৈরি করে ডেলিভারি করেন। এইভাবে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে একটু একটু করে এগিয়ে যেতে শুরু করেন তাঁরা। ধীরে ধীরে বিদেশের বাজারে তাঁদের তৈরি জিনিসের চাহিদা বাড়তে থাকে।

এবিষয়ে রিতেশ বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে এই জিনিসের চাহিদা বেশি থাকে। ডাইনিং টেবিল, স্ট্যান্ড এবং প্লাস্টিকের ব্যাগ, বস্তা থেকে বিছানার চাদর, যানবাহন, রেল এবং বাসের আবর্জনা থেকেই নতুন জিনিস তৈরি করেন। তিনি কারখানা রয়েছে এবং তাঁদের তৈরি জিনিসের চাহিদা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর