পাকিস্তান থেকে এল সাংবাদিক সুধীর চৌধুরীকে প্রাণে মারার হুমকি, দিল্লি পুলিশের কাছে FIR দায়ের

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সংবাদ মাধ্যমে বেশ কিছুদিন ধরে বর্তমানের শিরোনামে রয়েছেন সুধীর চৌধুরী। পাকিস্তান থেকে ওনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ এসেছে। পাকিস্তান থেকে সাংবাদিক সুধীর চৌধুরীর কাছে উড়ো ফোন আসে। তিনি জানান, ফোনে তাকে প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।পাকিস্তান (Pakistan) থেকে প্রবীণ সাংবাদিক সুধীর চৌধুরীর (Sudhir Chowdhury) কাছে উড়ো ফোন আসে। যেখানে তাকে মৃত্যুর হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এমনকি তার হোয়াটসঅ্যাপ কলও করা হয়েছিল। যেখানে নানা রকম ফটো ও বার্তা পাঠানো হয়।

সাংবাদিক সুধীর চৌধুরীর ফোনে পাকিস্তানের অনেক মোবাইল নম্বর থেকে তাকে ফোন করা হয়। পাশাপাশি মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টেও নানান বার্তা পাঠানো হয়। শুধু বার্তাই নয় তাকে নানান ফটোও পাঠানো হয়। ফটো ও বার্তার মাধ্যমে তাকে মৃত্যুর হুমকি অব্দি দেওয়া হয়। যার জন্য তিনি বাধ্য হয়ে  তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সাংবাদিকের অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ একটি মামলা দায়ের করেছে।

সুধীর চৌধুরীকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ কলও করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। দুষ্কৃতীরা বলছেন যে তাদের গুরুতর পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেছেন যে কেরালায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর সম্পর্কে। তিনি জানেন এবং শিগগিরই তাঁর বিরুদ্ধে দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং পাঞ্জাবে (punjab) এই জাতীয় আরও অনেক এফআইআর দায়ের করা হবে।

সাংবাদিক সুধীর চৌধুরী চৌধুরী পাকিস্তান থেকে মৃত্যুর হুমকি পেয়েছিলেন, দিল্লি (delhi) পুলিশ মামলা রেজিস্ট্রি করেছে।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উল্লেখ্য, নব্বইয়ের দশক থেকে চৌধুরী টেলিভিশন নিউজ ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন তিনি। টেলিভিশন সাংবাদিকদের প্রথম প্রজন্মের অন্তর্ভুক্ত। ২০০১ সালে লোকসভা হামলার পরে ইসলামাবাদে বাজপেয়ী-মোশাররফ ইন্দো-পাক বৈঠকটি কাভার্ড স্কোয়াডে রেখেছিলেন বলে চৌধুরীকে বলা হয়েছিল। ২০০৩ সালে তিনি জি নিউজ ত্যাগ করেন। সাহারা গ্রুপের হিন্দি নিউজ চ্যানেল সাহারা সাময়ের প্রবর্তনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ইন্ডিয়া টিভিতেও যোগ দিয়েছিলেন। ২০১২ সালে তিনি জি নিউজে যোগ দিলেন।

সম্পর্কিত খবর