মরার সময় হরিনাম! সিপিএমের রাজ্য কমিটিকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: সদ্যই শেষ হওয়া পুর নির্বাচনে শাসক দল অর্থাৎ তৃণমূলের সাহায্য নিয়েই বামেরা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে, এখানেই থেমে থাকেন নি তিনি। বরং সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে নতুনদের যায়গা করে দেওয়ার প্রসঙ্গে কটাক্ষ করতেও দেখা যায় তাঁকে।

এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি জানিয়েছেন যে, “মরার সময় হরিনাম”, অর্থাৎ রাজনৈতিক যাঁতাকলেই পরিস্থিতির চাপে সিপিএম এখন তরুণ মুখদের সামনে আনতে চাইছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না বলেই মনে করছেন সুকান্ত।

যদিও, সদ্য সমাপ্ত পুরভোটে বিজেপির ভরাডুবির জন্য শাসকদলের আস্ফালন ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতাকেই সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন এই বিজেপি নেতা। এমনকি, তীব্র আত্মবিশ্বাসের সুরে আসন্ন চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে কার ঠিক কতটা সমর্থন আছে সেটা স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়ে যাবে বলেও দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জলপাইগুড়ি আসেন রাজ্য বিজেপির এই শীর্ষ নেতা। সেখানেই শ্বশুরবাড়ি সুকান্তের। তবে, পারিবারিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি সাংগঠনিক কাজও করতে দেখা যায় তাঁকে। এদিকে, বর্তমান সময়ে জলপাইগুড়ি শহরে অত্যধিক হারে চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সরাসরি পুলিশের নজরদারিকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

sukanta majumdar,Bharatiya Janata Party,BJP,West Bengal,State,Politics,CPM

এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, “পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে না পারলে সেটাই জানিয়ে দিক, গুন্ডা-বদমাইশদের কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় তা বিজেপির ভালো ভাবে জানা আছে।” তবে, শুক্রবার পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে জেলা দফতরে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে রং খেলেন সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি মিষ্টিমুখ করতেও দেখা যায় তাঁকে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর