ভারতের ইসরো এর কাছে পায়ের ধুলো পাকিস্তানের সুপারকো ! কারন…

শনিবার গভীর রাতে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পা দেওয়ার আগেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম৷ তার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক কটাক্ষ করে চলেছে পাকিস্তান৷ প্রথমেই শনিবার পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হোসেন সামাজিক মাধ্যমে ভারতকে ল্যান্ডার বিক্রমের আংশিক ব্যর্থতা নিয়েই কটাক্ষ করতে শুরু করেছিলেন৷ এই পুরো প্রজেক্টের জন্য 983 কোটি টাকা খরচ হয়েছে ভারতের, তার পরিপ্রেক্ষিতেই পাকিস্তানের বিজ্ঞান মন্ত্রী ভারতকে 900 কোটি টাকা মানুষের গরিবি দূর করার জন্যও খরচ করার পরামর্শ দিয়েছেন৷ যদিও পাকিস্তানের মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর সেদেশের মানুষ জন পাকিস্তানের গবেষণা নিয়েই আঙুল তুলেছে৷

অনেকেই সামাজিক মাধ্যমেই কমেন্ট করেছেন, যাঁদের একটি উপগ্রহ পাঠানোর রেকর্ড নেই তাঁরা কী করে এমন মন্তব্য করেন? তবে পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে? 1961 সালে পাকিস্তানে স্পেস অ্যান্ড আপার এটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন বা সুপারকো তৈরি হয়েছিল৷ চীন ও ভারতের থেকেও অনেক পুরনো এই গবেষণা সংস্থা এখনও অবধি সেভাবেই মহাকাশ গবেষণায় রেকর্ড তৈরি করতে পারেনি৷ 2011 সালে প্রথম পাকিস্তান চীনের লঞ্চ প্যাড থেকে আকাশে উপগ্রহ পাঠিয়েছিল৷

কিন্তু অন্য দিকে ভারত ইতিমধ্যেই নিজস্ব লঞ্চ প্যাড থেকে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর রেকর্ড গড়েছে পাশাপাশি এক সঙ্গে 104টি স্যাটেলাইট লঞ্চ করেছিল ইসরো৷ শুধু তাই নয় অন্যান্য দেশকেও উপগ্রহ পাঠানোর জন্য ভারত নিজস্ব লঞ্চ প্যাড ব্যবহার করার সুযোগ দেয়৷ সেই তুলনায় মহাকাশ বিজ্ঞানে এখনও অবধি ভারতকে টেক্কা দেওয়ার ক্ষমতা রাখে পাকিস্তান৷ শোনা যায় পাকিস্তানকে উপগ্রহ পাঠানোর জন্য পাক সরকার আর্থিক সহায়তা দেয় না যেখানে ভারতকে একটি প্রজেক্টের জন্য কোটি কোটি টাকা দিতেও পিছপা হয় না ভারত সরকার৷

প্রথমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলেও তত্কালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক সুপারকো র জন্য আর্থিক বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়৷ পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের মহাকাশ গবেষণায় পাকিস্তান সুযোগ দেয় না তাই পাকিস্তানের মহাকাশ বিজ্ঞানী সে ভাবে না উন্নতির আরও একটি কারণ হল সংখ্যালঘু প্রতিবন্ধকতা৷ ভারতে যেখানে অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের বিজ্ঞান সংস্থায় কাজ দেওয়ার জন্য উত্সাহ দেওয়া হয় সেখানে পাকিস্তানে গবেষণা করার জন্য উত্সাহ দেয়ার অভাব রয়েছে৷ তা হলে সে দেশের বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী ভারতের 95 শতাংশ সাফল্যের পরেও কী করে বিষয়টিকে হাসির বলে মনে করেন? তাই অনেকে বলছেন সাফল্যের মানে কি তিনি বোঝেন না৷

সম্পর্কিত খবর