শপথ নিয়েই শীতলকুচির রেশ টানলেন মমতা, সাসপেন্ড কোচবিহার পুলিশ সুপার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ভোটের মাঝেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল শীতলকুচি (sitalkuchi)। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ছোঁড়া গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৪ জন গ্রামবাসী। ক্ষমতায় ফিরতেই কোচবিহার (Coochbehar) পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে সাসপেন্ড করে সেই জায়গায় কে কান্নানকে বসালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

১০ ই এপ্রিল ভোট চলাকালীন শীতলকুচির ১২৬ নং বুথে স্থানীয়দের উপর গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। যার ফলে ৪ জনের মৃত্যুর পরবর্তীতে উত্তাল হয়ে উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতি। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল, মমতা ব্যানার্জির উস্কানিতেই এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছিল। পরবর্তীতে ৭২ ঘণ্টার জন্য মমতা ব্যানার্জি সহ সকল রাজনৈতিক নেতৃত্বদের সেখানে প্রবেশে নিশেধজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।

তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর জানিয়েছিলেন, গুজবের জেরে প্রায় ১৫০ জন গ্রামবাসী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের ঘিরে ধরে তাঁদের বন্দুক ছিনতাই করতে গিয়েছিল। সেইসময় আত্মরক্ষার স্বার্থে গুলি চালায় জওয়ানরা। যার ফলেই মারা গিয়েছিলেন ৪ জন স্থানীয়।

পুলিশ সুপারের এই বক্তব্য অবশ্য মানতে নারাজ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা জারির সময়সীমার মাঝেই ফোন মারফত নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আশ্বাস দিয়েছিলেন পাশে থাকার। এই ঘটনার তদন্ত করে দেখা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন।

রবিবারের ফলাফলের পর তৃণমূলের জয় নিশ্চিত হওয়ার পরই আবারও বাংলার মসনদ দখল করে তৃণমূল শিবির। বুধবার শপথ নিয়েই শীতলকুচির ঘটনার রেশ ধরেই কোচবিহার পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে সাসপেন্ড করল রাজ্য সরকার।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর