বড়সড় পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যে আবারও বাড়ল জল্পনা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকমাস ধরে দলের (All India Trinamool Congress) বিরুদ্ধে অনেক কথাই বলেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এমনকি অনেক দল বিরোধী কাজও করেছেন। বিশেষ করে বিগত কয়েকমাস ধরে শুভেন্দু অধিকারী দল আর দলনেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নামে কোনও সভা করছেন না। যা করছেন সবই দলের বাইরে। আর এই নিয়ে চরম জল্পনাও শুরু হয়েছিল। যদিও তিনি পরে একটি সভা থেকে বলেছিলেন যে আমাকে দল তাড়ায় নি, আর আমিও দল ছারিনি। শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পর তৃণমূলের বুকে অনেকটা জল এলেও, এই মন্তব্যের ঠিক একদিন পর তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে আবারও মন্তব্য করেন তিনি।

সেসব এখন অতীত, নতুন করে জল্পনা শুরু করলেন পরিবহণ মন্ত্রী নিজেই। তিনি আজ হুগলি নদী ব্রিজ কমিশনারের চেয়ারম্যান (HRBC) পদ থেকে নিজেকে মুক্ত করে দেন। ওনার এই পদক্ষেপ ঘিরে রাজ্য জুড়ে আবারও বাড়ছে জল্পনা। উনি কি এই পদ থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিয়ে সরাসরি দল ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন? সেই নিয়েই ধন্দে রাজনৈতিক মহল।

বিগত কয়েকমাস ধরে শুভেন্দু অধিকারী যেখানেই সভা করেছেন, সেখানে তৃণমূলের কোনও প্রতীক, নাম আর মমতা ব্যানার্জীর নাম উল্লেখ ছিল না। রাজ্য জুড়ে জায়গায় জায়গায় এখন শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থকরা ‘আমরা দাদার অনুগামী” লিখে পোস্টার ব্যানার ছড়াচ্ছে। আর এতেও তৃণমূল অথবা মমতা ব্যানার্জীর নামের উল্লেখ নেই। এমনকি কিছু কিছু জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীকে আসল বাংলার গর্ব বলেই উল্লেখ করা হয়েছে।

যদিও এই নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ তৃণমূল। আরেকদিকে কিছুদিন আগে প্রশান্ত কিশোরকেও পাঠানো হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে শান্ত করতে। কিন্তু প্রশান্তও শান্ত করতে ব্যর্থ। অনেকের মতেই প্রশান্ত কিশোরের থেকে অনেক বড় রাজনীতিবিদ শুভেন্দু অধিকারী, তাই প্রশান্তের যে শুভেন্দুর কাছে ডাল গলবে না সেটা বলাই বাহুল্য। আরেকদিকে, বিজেপির থেকে শুভেন্দুকে দলে যোগ দেওয়ার আহ্বান করা হয়েছে। যদিও শুভেন্দু এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত একটি টুঁ শব্দ করেন নি। তবে আগামী দিনে শুভেন্দুকে নিয়ে যে রাজ্য রাজনীতির পারদ বেশ বাড়তে চলেছে সেটা বলাই বাহুল্য।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর