বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চলতি বছর নিয়োগ দুর্নীতির জেরে ২০১৬ সালের এসএসসির (SSC Recruitment Scam) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এর ফলে একধাক্কায় বাতিল হয়ে যায় প্রায় ২৬,০০০ চাকরি। বর্তমানে এই মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। যোগ্য-অযোগ্যর টানাপোড়েনে আপাতত সকলের চাকরি ঝুলছে সুতোর উপর।
আগামী ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না (Justice Sanjiv Khanna) ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি বাতিল সম্বন্ধিত মূল মামলার শুনানি রয়েছে। তার আগে যোগ্য প্রার্থীদের চাকরির বৈধতা নিশ্চিত করার পক্ষে জোর সওয়াল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
সোমবার বিধাননগরে কমিশনের সদর দফতের গিয়ে সংস্থার সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নন্দীগ্রাম বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক দাবি করেন শুভেন্দু। বলেন, ক্যাবিনেট মিটিংএ শূন্যপদ তৈরির মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করে নিয়েছেন ৫,৮৮০ জন বেআইনিভাবে চাকরি পেয়েছে। তাদের সকলকে শনাক্ত করে কমিশন যাতে আদালতে জানায় সেই দাবি তোলেন শুভেন্দু।
তিনি বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২০২২ সালের ৫ জুন ৫,৮৮০ অতিরিক্ত শূন্যপদ সৃষ্টি করার জন্য মন্ত্রীসভার বৈঠক হয়েছিল সেই বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়জি আটকে দিয়েছিলেন বলে ওই পদ সৃষ্টি করা যায়নি। ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি।’ শুভেন্দুর কথায়, ‘তাহলে মমতা জানতেন ৫,৮৮০ জনের বেআইনি চাকরি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জরিমানা থেকেই কলকাতার পুরসভার লাভ হল ১৩ লক্ষ টাকা! ভেজালে ভরা হোটেল-রেস্তোরাঁর খাবার
হিসেব কষে শুভেন্দু বলেন, যদি ৬ হাজার সাদা খাতা দিয়ে টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে তৃণমূলের সাংসদ – বিধায়ক – জেলাসভাপতির আত্মীয় স্বজনরা এমনটা হয়, তাহলে ২৬ হাজার থেকে ৬ হাজার বেআইনি নিয়োগ হয় তাহলে প্রায় ১৯ হাজারের বেশি প্রার্থী নিজেদের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে। তাদের চাকরি কেন যাবে সেই প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি এসএসসি যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি রক্ষায় পদক্ষেপ না করলে ৭ জানুয়ারি শুনানির পর বিজেপি পথে নামবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু।