স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নেই টাকা! রোগী ফেরালো বেসরকারি হাসপাতাল

সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)  সরকার ঘোষণা করেছিল রাজ্যের প্রতিটি মানুষ যারা কোনো স্বাস্থ্য বীমার অন্তর্ভুক্ত নন, তাদের প্রত্যেকের কাছেই পৌঁছে যাবে স্বাস্থ্য সাথী (swastha sathi) কার্ড। সেই মতো অনেকেই স্বাস্থ্য সাথীর অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আবেদন করেছেন৷ কিন্তু বাস্তবের চিত্রটা সম্পূর্ণ উল্টো।  স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে পর্যাপ্ত টাকা না থাকার অজুহাতে রোগীকে ফিরিয়েছে হাসপাতাল। এমনটাই অভিযোগ আমডাঙার এক পরিবারের

IMG 20201226 201028

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার সদর শহর বারাসাতে। বারাসাত সংলগ্ন আমডাঙার একটি পরিবার রোগী নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন বারাসাতের এক বেসরকারি হাসপাতালে। তাদের কাছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দেখালে ঐ হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয় কার্ডে পর্যাপ্ত টাকা নেই, ফলে তাদের পক্ষে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব নয়। রোগীর কন্যা মঞ্জুওয়ারা বিবি জানিয়েছেন,  এরপর বারাসাত সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেও তাকে ভর্তি নেওয়া হয় নি। বর্তমানে ঐ রোগী আরজিকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রাজ্যে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্প বেশ কয়েকবছর হলো শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের আওয়ায় স্বাস্থ্য বিমা পেতেন নাগরিকরা। যদিও সেই সুবিধা সকলের জন্য উপলব্ধ ছিল না৷ ভোটের আগে সেই সুবিধা প্রত্যেক রাজ্যবাসীর জন্য উপলব্ধ করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য।

বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষকে এই স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের  আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার তার সাথে যুক্ত হবে আরও আড়াই কোটি। যারা কোনরকম স্বাস্থ্য বীমার সুযোগ পান না তাদের এই প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিমার সুবিধা দেওয়া হবে। তবে এই পাঁচ লাখ টাকা মাথাপিছু নয়, পরিবারপিছু।

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড হয় গৃহকর্ত্রীর নামে। তবে পরিবারের সকলেই এই কার্ডের সুবিধা নিতে পারে। কারোর চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন হলে সে একাই পুরো সুবিধা নিতে পারবে।

সম্পর্কিত খবর