ভারতের আকবরুদ্দিন কেবল একটা ডায়লগ দিয়ে চুপ করিয়ে দিলেন সব পাকিস্তানি সাংবাদিকদের

আজকাল দুনিয়া তাকেই সেলাম করে যার কূটনীতি সব থেকে শক্তিশালী। কূটনীতির অর্থ হলো সামনের মানুষটি তার হীত দেখিয়ে তার মধ্যে দিয়ে নিজের হীতকেও পূরণ করা, অর্থাৎ সেই মানুষটিও সন্তুষ্ট থাকবে আর আপনার পক্ষ সবার সামনে প্রকাশিত হবে। এই কূটনীতির প্রদর্শন সংযুক্ত রাষ্ট্রে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সৈয়দ আকবরউদ্দিন করেন। UNSC এর বৈঠকে কাশ্মীরের উপর চর্চা হওয়ার পর ভারতের কূটনীতি বন্ধ ঘরের বাইরেও প্রভাবশালী ছিল। এই বৈঠকের পর সৈয়দ আকবরউদ্দিন প্রেস কনফারেন্স ডাকে এবং মিডিয়ার সামনে ভারতের পক্ষটি তুলে ধরেন। সেই সময় পাকিস্তানের অনেক সাংবাদিক বার বার সৈয়দ আকবরউদ্দিনের কাছে কাশ্মীর ও কাশ্মীরের মানবাধিকারদের নির্যাতনের বিষয় প্রশ্ন করছিল।

   

 

আকবরউদ্দিন এক এক করে তাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাদের চুপ করিয়ে দেয়। অনেক পাকিস্তান সাংবাদিক অনুচ্ছেদ 370 কে নিয়ে আকবরউদ্দিনকে ঘেরাও করার চেষ্টা করে কিন্তু কোনো সফলতা প্রাপ্ত করতে পারে না। ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি পরিষ্কার বলে দেয় যে জম্মু কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ 370 কে সরানোর সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভাবে ভারতের অন্তঃস্থ মামলা।

আকবরউদ্দিন  তিনজন পাকিস্তানি পত্রকারের প্রশ্নের উত্তর আত্মবিশ্বাসের সাথে দেন, কিন্তু যেই পাকিস্তানের শেষ পত্রকারটি প্রশ্ন করলো যে নিউ দিল্লীতে ইসলামাবাদের কথাবার্তা কবে থেকে শুরু হবে? তখন আকবরউদ্দিন উঠে সেই পাকিস্তানি পত্রকারটির কাছে যায় এবং বলেন যে ” চলুন, এর শুরু আপনার সাথে হাত মিলিয়ে করা যাক”, তার পর এক এক করে তিনি তিন জন পাকিস্তানি পত্রকারের সাথে হাত মেলালেন। এর পর মঞ্চে গিয়ে তিনি বললেন  ” আমরা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেখিয়ে দিয়েছি যে আমরা (ভারত) শিমলা চুক্তিকে নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আছি, এবার আমরা পাকিস্তানের পক্ষ দিয়ে জবাবাবের প্রতীক্ষা করছি।

জানিয়ে দি চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ঝাং জুন এবং পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মালিহা লোধী পত্রকারদের প্রশ্নের জবাব দিতে মানা করে দিয়েছিলেন, যার পর আকবরউদ্দিন তাদের দুজনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন যে এখানে যারা এলো আর বাসে করে চলে গেল (কিন্তু) প্রতিনিধি রূপে। একটি খোলা লোক তন্ত্রে আমি আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য তৈরি।

একজন পত্রকার প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন যে অনুচ্ছেদ 370 আপনাদের দেশে আন্তরিক মামলা হতে পারে, ঠিক সেই সময় আকবরউদ্দিন তাকে আটকে দিয়ে বললো যে ধন্যবাদ এটা স্বীকার করার জন্য, তারপর পত্রকার প্রশ্নটিকে জারি রেখে বললো ” ভারতীয় সংবিধানে অনুচ্ছেদ 370 কে স্পষ্ঠ করা হয়েছিল?”আকবরউদ্দিন বুদ্ধিমত্তার সাথে   পাকিস্তানি পত্রকারটিকে চুপ করিয়ে দিয়ে উত্তরে বললেন যে “ধন্যবাদ এটি স্বীকার করার জন্য। এই অনুচ্ছেদ 370টি ভারতের আইনে স্পষ্ঠ করে দেওয়া আছে।

যখন একজন পত্রকার বললেন যে কাশ্মীরের উপর থাকা সীমাবদ্ধতা লোকতন্ত্র রূপে ভারতের ছবিকে দৃঢ়তাহীন করেছে, তখন তার উত্তরে আকবরউদ্দিন বলেন যে জম্মু কাশ্মিরকে নিয়ে যা সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা বিকাশের জন্য নেওয়া হয়েছে। আমরা ধীরে ধীরে জম্মু কাশ্মীর থেকে সব সীমাবদ্ধতাকে সরিয়ে নিচ্ছি এবং তিনি আরো বলেন যে আমরা সবসময়ের মতো এখনও নিজেদের নীতির উপর অটোল আছি। আকবরউদ্দিন পরিষ্কার করে বলে দেন যে জম্মু কাশ্মীর থেকে 370 এর একটি খন্ড বাদে বাকি সব খন্ড গুলিকে সরানোর সিদ্ধান্ত পুরোপুরি ভাবে ভারতের আন্তরিক ব্যাপার তাই কাশ্মীরকে নিয়ে নেওয়া ভারতের কোনো সিদ্ধান্তকে নিয়ে বাইরের লোকেদের মাথা না ঘামানোই ভালো। উনি বলেন যে জিহাদের নামে পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদ বা হিংসাকে ছড়াচ্ছে।  সব মামলা গুলি কথাবার্তা বলে ঠিক করে নেওয়া যাবে। কিন্তু কথা বার্তা বলার জন্য প্রথমে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের সঙ্গ ছাড়তে হবে কারণ হিংসা কোনো মামলা ঠিক করার উপায় নয়।

এই ভাবে আকবরউদ্দিন নিজের বুদ্ধি, বিবেক ও কূটনীতি দ্বারা পাকিস্তান সাংবাদিকদের চুপ করিয়ে দেয়। উনি নিজের দেশের লোকতন্ত্রের পরিচয় দেয় এবং সব পত্রকারদের প্রশ্ন করার সুযোগ দেয় এবং তাদের প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর দেন। সৈয়দ আকবরউদ্দিন নিজের বুদ্ধিমত্তা ও তথ্য দ্বারা পাকিস্তানি পত্রকারদের মুখ বন্ধ করে দেন এবং প্রমান করে দেয় যে তিনি একজন স্পষ্ট নেতৃত্বের রাজনৈতিক।

সম্পর্কিত খবর