দিল্লী হিংসায় মাস্টারমাইন্ড তাহির হুসেইন, হিন্দুদের শিক্ষা দিতেই করেছিল ষড়যন্ত্র! স্বীকার করল নিজেই

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আম আদমি পার্টির (Aam Aadmi Party) থেকে বহিষ্কৃত সাংসদ তাহির হুসেইন (Tahir Hussain) দিল্লী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, সেই দিল্লী হিংসার (Delhi Violence) মাস্টারমাইন্ড ছিল। এর সাথে সাথে তাহির বলে, ‘যখন আমি ২০১৭ সালে আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর হয়েছিলাম, তখন থেকেই আমার মাথায় ছিল রাজনীতি আর পয়সার জোরে হিন্দুদের শিক্ষা দিতে হবে।” সরকারি স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তাহির হুসেইন এই কাজের জন্য খালিদ সৈফি আর পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া (PFI) এর সাহায্য নিয়েছিল।

তাহির হুসেইন দিল্লী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, ‘আমার পরিচিত খালিদ সৈফি বলেছিল তোমার কাছে রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে আর টাকাও আছে, এই দুটোর ব্যবহার হিন্দুদের বিরুদ্ধে আর মুসলিমদের শক্তিশালী করতে করো। আমি এই কাজের জন্য সবসময় তৈরি।” তাহির জানায়, ‘কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর সৈফি আমার কাছে এসেছিল। সে বলেছিল এবার আর আমরা চুপ থাকব না। আর তারপরেই রাম মন্দিরের সিদ্ধান্ত এবং CAA চলে আসে। তখন আমি বুঝি যে, জল মাথার উপর দিয়ে বইছে, এবার কোন বড় পদক্ষেপ নিতে হবে।”

তাহির হুসেইনের কবুলনামা অনুযায়ী, ‘৮ ফেব্রুয়ারি খালিদ সৈফি আমাকে JNU এর প্রাক্তন ছাত্র উমর খালিদের সাথে PFI এর অফিসে সাক্ষাৎ করায়। সেখানে উমর খালিদ বলে, আমি মরতে আর মারতে রাজি। আর খালিদ সৈফি বলে, PFI এর সদস্য দানিশ হিন্দুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সমস্ত রকম আর্থিক সাহায্য করবে।” এর সাথে সাথে তাহির বলে, PFI এর দফতরেই হামলার প্ল্যান বানানো হয়। দিল্লী এমন কিছু করার প্ল্যান করা হয় যাতে সরকার নড়ে যায়। এরপরই তাঁরা CAA রদ করবে নাচেত না। খালিদ সৈফি মুসলিমদের উস্কানো আর রাস্তায় নামানোর কাজ করেছে।

তাহির জানায়, আমাকে বেশি করে কাঁচের বোতল, পেট্রোল, অ্যাসিড আর ইট-পাথর নিজের ঘরের ছাদে একত্রিত করার কাজ দেওয়া হয়েছিল। আর খালিদ সৈফি তাঁর বন্ধু ইশরাত জাহানের সাথে মিলে সবার আগে শাহিন বাগের আদলে খুজেরিতে ধরনা প্রদর্শন শুরু করায়। এরপর জায়গায় জায়গায় ধরনা প্রদর্শন শুরু হয়। এরপর ৪ঠা ফেব্রুয়ারি আমি আর খালিদ সৈফি আবু ফজল এনক্লাভে দিল্লীতে অশান্তি কীভাবে ছড়ানো হবে সেটা নিয়ে আলোচনা করি।

তাহির জানায়, উমর খালিদ বলেছিল টাকা পয়সার চিন্তা করতে হবে না, PFI, জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটি, অনেক রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব এবং অন্যান মুসলিম সংগঠন গুলো আমাদের সাহায্য করবে। সেখানে নির্ধারিত হয় যে, CAA এর বিরোধিতায় যারা ধরনায় বসেছে, তাঁদের উস্কে চাক্কা জ্যাম করানো হবে। যদি পুলিশ অথবা অন্য ধর্মের মানুষ এগুলোকে থামানোর চেষ্টা করে, তাহলে অশান্তি শুরু করা হবে।

তাহির জানায়, ‘খালিদ সৈফি বলেছিল যে আমারিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প থাকাকালীন যা করার করতে হবে, এরফলে সরকার মাথানত করতে বাধ্য হবে। আর আমি মদ এবং কোল্ডড্রিংকস এর খালি কাঁচের বোতল গুলো নিয়ে ছাদে জমা করা শুরু করে দিই। আর বাড়ির পাশে চলা কনস্ট্রাকশন সাইট থেকে ইট পাথর জমা করি। এছাড়াও আমি নিজের চারটি গাড়িতে ফুল ট্যাংক পেট্রোল আর ডিজেল ভরে রাখি। বোতলের পেট্রোল কম পড়লে সেখান থেকেই পেট্রোল নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এর সাথে সাথে আমি আমার লেবারদেরও অশান্তির সময় বোমা এবং পাথর ছোঁড়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলি।

উপরোক্ত প্রতিটি বক্তব্যই দিল্লী পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তাহির হুসেইন স্বীকার করেছে। এরমধ্যে আমাদের কোন নিজস্ব বক্তব্য নেই।

Avatar
Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর