মসজিদ একদিন মিউজিয়াম হয়ে যাবে,বললেন তসলিমা নাসরিন

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশী লেখিকা তসলিমা নাসরিন বিতির্কিত লেখার জন্য তাঁকে ছাড়তে হয়েছে দেশ। নিজের জন্মভূমি থেকে এসে ভারতে রয়েছেন দীর্ঘ ২৫ বছর। মুসলিম সম্প্রদায়ের মেয়ে হয়েও নিজের স্বাধীন মন্তব্য প্রকাশ করতে ভয় পাননি। নিজের মতামত পেশ করতে গিয়ে ছেড়েছেন নিজের বাড়ি।ধর্মীয় গোঁড়ামি কোনোদিন সমর্থন করেননি তিনি।

পেশায় ডাক্তার তসলিমা মনে করেন,ধর্মের গোঁড়ামি অশিক্ষা থেকে আসে। একমাত্র শিক্ষার আলো এসে পড়লেই ধর্মের প্রতি অন্ধবিশ্বাস কেটে যাবে সহজে। পড়ুন কি লিখেছেন তিনি।

“কেউ কেউ বলছে প্রতি বছর দুর্গা পুজোর আগে আগে বাংলাদেশে মন্দির বা মূর্তি ভাংগা হয়, এবছরও হচ্ছে। আবার এও শুনেছি বাংলাদেশের সরকার প্রচুর টাকা ব্যয় করবেন হিন্দু মন্দিরগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য। তাহলে কি প্রয়োজনে মন্দির ভাঙ্গা হবে, আবার প্রয়োজনে গড়াও হবে? ভাঙ্গা গড়ার রাজনীতি বেশ জমজমাট! রমনা কালীমন্দির গড়ার জন্য নাকি ভারত টাকা দেবে। ভারতকে কেন টাকা দিতে হবে। বাংলাদেশেরই তো উচিত নিজের টাকায় ঐতিহ্যবাহী রমনা কালীমন্দিরটি গড়া।

আমি ঘোর নাস্তিক হয়েও কেন বলছি ধর্মীয় উপাসনালয় গড়ে দিতে! কারণ আমি মানুষের ধর্ম পালন করার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। ঠিক যেরকম ধর্ম পালন না করার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।

মানুষ কুসংস্কারমুক্ত হলে, মানুষ সত্যিকার বিজ্ঞানমনস্ক হলে, মন্দির মসজিদ গির্জা সিনেগগ হবে এক একটা মিউজিয়াম। সেদিন ভবিষ্যতের মানুষ ইতিহাসে পড়বে ধর্মের কারণে এককালে কী কুৎসিত হানাহানিই না করতো তাদের পূর্ব পুরুষেরা।”

সম্পর্কিত খবর