রোহিঙ্গারা অশিক্ষিত, মুসলমান, তাদের যেতে দাও লিখলেন তসলিমা নাসরিন

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের রোহিঙ্গারা চাপ বাড়াচ্ছি বাংলাদেশের নাগরিকদের উপর। রোহিঙ্গারা জড়িয়ে পড়ছে দুর্নীতিমূলক কাজে । বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে পাঠিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেও মায়ানমারের রোহিঙ্গাদের। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে থেকে। দিনদিন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংখ্যা এতোটাই বেড়ে যাচ্ছে যে নিজেদের দেশে নিজেরাই সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশিরা।

   

অন্যদিকে লেখিকা তসলিমা নাসরিন। জন্মগ্রহণ করেছেন বাংলাদেশে। তবে বিতর্কিত লেখার জন্য তাকে বাংলাদেশ থেকে ২৫ বছরের নির্বাসন দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তসলিমা ভারতের দিল্লির বাসিন্দা। সংখ্যালঘুদের প্রতি তসলিমা বরাবরই একটু সহানুভূতিশীল। এবার তিনি তার ফেসবুক পোস্টে রোহিঙ্গাদের নিয়ে লিখলেন,

“বাংলাদেশ থেকে ১৬ জন রোহিংগ্যা সমুদ্রপথে মালোয়েশিয়া যাওয়ার পথে টেকনাফে ধরা পড়েছে। ধরার দরকার কী? যেতে দাও ওদের, যেখানে যেতে চায় যাক। রোহিংগ্যারা দরিদ্র, অশিক্ষিত, তার ওপর আবার মুসলমান। এদের কোনও মুসলমান দেশও নিতে চায় না। চেষ্টা করে দেখুক, মালোয়েশিয়ায় যদি থেকে যেতে পারে, থেকে যাক। পৃথিবীর কোনও অঞ্চলে কোনও প্রাণীর প্রবেশ অবৈধ হওয়া উচিত নয়। একমাত্র ধনীই পারে যাতায়াতের টিকিট কিনে, ভিসা সংগ্রহ করে তথাকথিত বৈধভাবে বিদেশে যেতে। দরিদ্রদের ওভাবেই যেতে হয়, সবজির ট্রাকের ভেতর লুকিয়ে, অন্ধকারে নৌকো ভিড়িয়ে, নকল পাসপোর্ট নিয়ে। অশিক্ষিত আর গরিব — সে যে ধর্মেরই হোক না কেন, তাদের কেউ চায় না। তারা অস্পৃশ্য।”

২০১৭ সালের ২৫ আগষ্ট এর পর থেকে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা মায়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বাংলাদেশের রোহিঙ্গা দের বাড়বাড়ন্ত দেখে বেশ চিন্তিত হাসিনা সরকার। মায়ানমারের কাছে তারা রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। রাখাইন প্রদেশের ২০১৭ সালে সেনা অভিযানের সময় সাত লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশের পালিয়ে আসে। হিন্দু রোহিঙ্গারা মায়ানমারের ফিরে যেতে চাইলেও রোহিঙ্গারা কিছুতেই রাজি হচ্ছে না। অন্যদিকে বাংলাদেশ সরকার মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছে। আবার মায়ানমার এর কাছে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা চেয়েছে।

সম্পর্কিত খবর