ফরেস্ট গাম্পের থেকেও লাল সিং ভাল! সবার বিরুদ্ধে গিয়ে হলিউডের থেকে আমিরকে এগিয়ে রাখলেন তসলিমা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে এখন শুধুই আমির খানের (Aamir Khan) ‘লাল সিং চাড্ডা’ (Laal Singh Chaddha) ঝড়। মুক্তির অনেক আগে থেকেই চর্চায় ছিল এই ছবি। বা বলা ভাল, বয়কটের ডাক উঠেছিল লাল সি‌ং এর বিরুদ্ধে। মুক্তি পাওয়ার পরেও রেহাই পাননি আমির। বয়কটের ডাক অব‍্যাহত, উপরন্তু নতুন কিছু অভিযোগ দায়ের হয়েছে অভিনেতার বিরুদ্ধে।

   

বেশিরভাগ মানুষ যখন লাল সিং চাড্ডার বিরুদ্ধে, এক নাগাড়ে উঠছে বয়কটের ডাক, তখন ভিন্ন সুর শোনা গেল বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিনের (Taslima Nasrin) কণ্ঠে। আমিরের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি দাবি করেছেন, লাল সিং চাড্ডা বেশি ভাল হয়েছে।  সোশ‍্যাল মিডিয়ায় একটি বড়সড় পোস্টে তসলিমা বলেন, লাল সিং তথা আমিরকে তাঁর সবথেকে বেশি ভাল লেগেছে।


তিনি লিখেছেন, ‘নব্বইয়ের দশকে ফরেস্ট গাম্প ছবিটা অনেকবার দেখা হয়েছে। ছবিটা ভালো লেগেছিল ফরেস্টের সরলতার জন্য। ফরেস্ট গাম্পের ভারতীয় অনুকরণ   লাল সিং চাড্ডা দেখলাম গতকাল।

সত্যি বলতে, লাল সিং চাড্ডা ফরেস্ট গাম্পের চেয়ে আমার বেশি ভালো লেগেছে। কারণগুলোর মধ্যে আছে এক,  লাল সিংয়ের সরলতা, দু্‌ই,  সকল ধর্মের উর্ধে মানবতাকে তুলে ধরা, (তাছাড়া ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে বেশ  সম্মান করা হয়েছে, লাল নিজে শিখ, কিন্তু তাঁর একমাত্র বন্ধু হিন্দু, তাঁর একমাত্র প্রেম খ্রিস্টান, যার জীবন তিনি বাঁচিয়েছিলেন সে মুসলিম।)  তিন , ঐতিহাসিক যে ঘটনাগুলো দেখানো হয়েছে, সেগুলো এই উপমহেদেশেরই, সে কারণে রিলেট করতে পেরেছি বেশি।’

‘হিন্দু বিরোধী’ দাবি করে সর্বত্র বয়কটের ডাক উঠছে লাল সিং চাড্ডাকে। তাদের উদেশে তসলিমার বার্তা, ‘যারা লাল সিং চাড্ডাকে বয়কট করছে, তাদের জন্য দুঃখ হচ্ছে, ভালো একটি ছবি দেখার সুযোগকে  নষ্ট করলো  তারা। বয়কটের কারণে ছবিটি ব্যবসা সফল হয়নি । এতে কার লাভ হলো, লাভ কি আদৌ কারও হলো?’


এ প্রসঙ্গে কয়েক বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পদ্মাবত’এর উদাহরণ টেনেছেন তসলিমা। কর্ণি সেনার বিক্ষোভে বাধ‍্য হয়ে ছবির নাম বদলেছিলেন পরিচালক। তসলিমার কথায়, ‘ছবিতে নাকি দেখানো হয়েছে আলাউদ্দিন খিলজির প্রেমে  পড়েছে পদ্মাবতী । আমি ছবি দেখে তাজ্জব। মোটেও প্রেম নয়, বরং মুসলিম শাসক থেকে বাঁচার জন্য পদ্মাবতী এবং অন্যান্য  রাজপুত মেয়ে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জাওহার বা স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করেছে। এটিই তো চায় করনি সেনারা। ছবিটি   দেখে করনি সেনারা পরে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছিল।’

দক্ষিণ বনাম বলিউডের বিবাদে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রির পাশেই দাঁড়িয়েছেন লেখিকা। দক্ষিণের ছবিকে ‘ধুম ধাড়াক্কা’ কটাক্ষে বিদ্ধ করে তাঁর বক্তব‍্য, ‘বলিউড আজকাল জবুথবু। এই সময় দল বেঁধে বলিউডের ছবিকে ফ্লপ করিয়ে যারা আনন্দ পাচ্ছে পাক, আমি একটি ভালো ছবি দেখে আনন্দ পেয়েছি।’

Avatar
Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর